সংক্ষিপ্ত

ঠিক যেমন একজন ব্যক্তির রাশিচক্রের মাধ্যমে তাঁর প্রকৃতি-ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। তেমনভাবেই কাজ করে নও ব্যক্তির স্বাক্ষর বা সই-ও। রইল 'স্বাক্ষর জ্যোতিষশাস্ত্র' ব্যবহার করে, কারোর স্বাক্ষর থেকে তাঁর প্রকৃতি বা ব্যক্তিত্ব জেনে নেওয়ার সহজ কিছু পদ্ধতি।  
 

চাকরি হোক, ব্যবসা হোক, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হোক, এমনকী বিবাহ নথিভুক্তকরণের ক্ষেত্রেও, স্বাক্ষর ছাড়া আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় না। অনেকেরই জানা নেই, এই স্বাক্ষর একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট নথিগুলিতে আপনার সম্মতি প্রকাশ করে, তেমনই আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক তথ্য বলে দেয়। বস্তুত জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি সমগ্রের শাখাই তৈরি হয়েছে শুধুমাত্র এই স্বাক্ষরের উপর ভিত্তি করে। 

স্বাক্ষর জ্যোতিষশাস্ত্র

একে বলা হয় 'স্বাক্ষর জ্যোতিষশাস্ত্র'। জ্যোতিষের এই শাখায়, স্বাক্ষরের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির প্রকৃতি এবং আচরণ সম্পর্কে বিশদ তথ্য বলা যায়। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক, স্বাক্ষর থেকে কোনও ব্যক্তির প্রকৃতি বা ব্যক্তিত্ব জেনে নেওয়ার সহজ কিছু পদ্ধতি। এর মাধ্যমে আপনি নিজের সম্পর্কেও সম্ভবত এমন কিছু কথা জানতে পারবেন, যা আপনার আগে জানা ছিল না।

যারা কলম তোলেন না

স্বাক্ষর করার সময় যে ব্যক্তিরা একবারও কলম তোলেন না, অর্থাৎ, একবারেই সম্পূর্ণ স্বাক্ষর করেন, স্বাক্ষর জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী তারা সাধারণত ঐতিহ্য-পরম্পরায় বিশ্বাসী হন। তাছাড়া, এই ব্যক্তিরা খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের হন, সাধারণত এঁদের অনেক বন্ধু থাকে। 

সব অক্ষরে স্পষ্ট 

কিছু কিছু ব্যক্তির স্বাক্ষরে, তাঁদের নামের প্রতিটি অক্ষরে একেবারে স্পষ্ট গোটা গোটা ভাবে দেখা যায়। এই ধরনের ব্যক্তিরা খুব স্বচ্ছ স্বভাবের হন। মনে কোনও প্যাঁচ থাকে না। স্পষ্টবাদীও হন বটে। এই ব্যক্তিদের মনে কি চলছে তা সহজেই বোঝা যায়।

অক্ষর চিনতে অসুবিধা হয়

কিছু ব্যক্তি স্বাক্ষর করার সময় অক্ষরগুলি এমনভাবে লেখেন, যে সেগুলি ভালভাবে চেনা যায় না। এই ব্যক্তিরা কিন্তু রহস্যময় প্রকৃতির হয়ে থাকেন। এমন মানুষদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটানোর পরও, বাস্তবে তাদের পুরোপুরি চিনতে পারে না কেউ। সাধারণত এই ব্যক্তিরা লোকেরা স্মার্ট এবং তেজী হয়ে থাকেন।

নিচ থেকে উপরে 

যাদের স্বাক্ষর করার সময়, অক্ষরগুলি নিচ থেকে উপরের দিকে উঠে যায়, তা স্বাক্ষর জ্য়োতিষশাস্ত্র অনুযায়ী অতি উৎসাহের লক্ষণ। এই ধরনের ব্যক্তিরা বড় বড় স্বপ্ন শুধু দেখেন না, তা সাধারণত পূরণও করে থাকেন। আর তার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেও পিছপা হন না।

উপর থেকে নিচে 

অন্যদিকে, এর ঠিক উল্টোটা যারা করে থাকেন, অর্থাৎ, যাদের স্বাক্ষর করার সময় অক্ষরগুলি নিচের দিকে নেমে আসে, তাদের সাধারণত জীবনের প্রতি খুবই নেচিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। এঁরা খুবই হতাশাবাদী হন। জীবনের সমস্ত ক্ষেত্র নিয়েই এঁদের হতাশা-নেচিবাচকতা কাজ করে। এঁদের পক্ষে জীবনে বড় কিছু করা অসম্ভব বললেই চলে।

কলমে চাপ দিয়ে 

যারা কলমে খুব চাপ দিয়ে স্বাক্ষর করেন, তারা খুব জেদি এবং স্পষ্টভাষী প্রকৃতির হন। জীবনের সমস্ত ক্ষেত্র সম্পর্কে এঁদের স্পষ্ট মতামত থাকে। আর সেই মত থেকে এঁদের সরানোর সাধ্য কারোর নেই। স্পষ্টভাষী হওয়ার কারণে এঁদের বন্ধু কম হয়, তবে যারা হয়, তারা সত্যিকারের বন্ধু হয়ে থাকে।

যারা স্বাক্ষরে বিন্দু বা দাগ ব্যবহার করে

অনেকেই তাঁদের স্বাক্ষরের শেষে কোনও বিন্দু বা দাগ দিয়ে থাকেন। এঁরা সহজে অন্যদের বিশ্বাস করতে পারেন। কাউকে কোনও কাজ দিলে, সেই কাজ শেষ হওয়ার পরই এঁরা বিশ্বাস করে থাকেন। তবে নিজেদের দক্ষতা বা ক্ষমতার প্রতি এঁদের অগাধ বিশ্বাস থাকে।