সংক্ষিপ্ত

  • বাস্তুশাস্ত্র, এই বাস্তু শব্দটি এসেছে বস্তু থেকে
  • বর্তমানকালে বাস্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
  • অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় ঝামেলা, অশান্তি বাড়িতে লেগেই থাকে
  • সম্পর্কে সমস্যা দেখা দিলে মেনে চলুন এই বাস্তুর নিয়মগুলি

বর্তমানকালে বাস্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় নিত্য ঝামেলা, অশান্তি বাড়িতে লেগেই থাকে। তা কারও শরীর খারাপ হোক বা কোনও বিষয় নিয়ে পরিবারের মধ্যে ঝামেলাই হোক। বাস্তুর দোষে একেক সময় এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে সম্পর্ক ভাঙ্গনের মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কারণ প্রণয় হোক বা বিবাহিত সম্পর্ক উভয় ক্ষেত্রেই বাস্তুর প্রভাব পড়ে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বাস্তুমতে, সম্পর্কে ভাঙ্গন রোধ করার জন্য বাস্তুর কিছু নিয়ম অবশ্যই পালন করা উচিত। জেনে নেওয়া যাক সম্পর্কের ভাঙ্গন রোধ করার জন্য বাস্তুর গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলি-

বাড়িতে কোনও অশুভ শক্তির ছায়া থাকলে প্রতিদিন ঘরে ঠাকুর পুজো দেওয়ার আগে গঙ্গাজল ও গরুর দুধ মিশিয়ে তার ছিটা দিন। এতে ঘরের বাস্তু উন্নত হয়। উত্তর বা উত্তরপূর্ব দিকে খাট রাখা জরুরি। বাস্তু মতে খাট এই স্থানে রাখলে সম্পর্কের গভীরতা আরও বেড়ে যায়। বাস্তু মতে, বেডরুমে ফুল রাখুন, এতে ঘরে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হতে সাহায্য করে। শোওয়ার ঘরে ডুবন্ত কোনও জাহাজ বা নৌকার ছবি, শিল্পগুণ সম্পন্ন হলেও টাঙাবেন না। এতে পরিবারের আপনজনের মধ্যে যে স্নেহের সম্পর্ক তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 

বাড়িতে নিয়মিত ঝগড়া অশান্তি লেগে থাকলে বাড়ির মূল দরজায় সাদা গণেশের মূর্তি রাখুন। এতে ঘরের নেগেটিক এনার্জি দূর হয়। ঈশ্বরের ছবি বেডরুমে রাখবেন না। এতে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। দরজার দিকে মুখ করে বেডরুমের খাটটি রাখবেন না। মনে রাখবেন কখনোই কোনওভাবে ছিঁড়ে যাওয়া বেডকভারে শোওয়া উচিত নয়, এতে দাম্পত্য কলহ বৃদ্ধি পায়। আপনি অবিবাহিত হলেও এই কাজ ভুলেও করবেন না। এর ফলে সম্পর্কের উপর ব্যপক প্রভাব ফেলে। মাটির প্রদীপ তৈরি করে তাতে তেল দিয় প্রতিদিন সন্ধ্যে বেলায় বাড়ির মূল দরজার সামনে জ্বালান। এতে অনেক উপকার পাবেন।