সংক্ষিপ্ত

হিন্দু শাস্ত্র চতুরমাসের গুরুত্ব অনেক। পুরাণ অনুযায়ী এই সময়ই ভগবান বিষ্ণু তাঁর অনন্ত শয্য়ায় যান। আর ভগবান শিবের ওপর দায়িত্ব পড়ে সৃষ্টির দেখভাল করার। তাই এই চারমাস হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী যেমন গুরুত্বপূর্ণ। তেমনই গুরুত্বপূর্ণ জ্যোতিষশাস্ত্রেও। 

হিন্দু শাস্ত্র চতুরমাসের গুরুত্ব অনেক। পুরাণ অনুযায়ী এই সময়ই ভগবান বিষ্ণু তাঁর অনন্ত শয্য়ায় যান। আর ভগবান শিবের ওপর দায়িত্ব পড়ে সৃষ্টির দেখভাল করার। তাই এই চারমাস হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী যেমন গুরুত্বপূর্ণ। তেমনই গুরুত্বপূর্ণ জ্যোতিষশাস্ত্রেও। কারণ মনে করা হয় এই চার মাসে ভগবান শিব যেমন আশীর্বাদ করেন তেমনই আশীর্বাদ করেন বিষ্ণু। চলতি বছর চতুরমাশ শুরু হচ্ছে ১০ জুলাই থেকে। এই মাস স্থায়ী থাকবে ৪ নভেম্বর। তবে এই সময় কতগুলি কাজ করলে শুভ ফল পাওয়া যায় বলে মনে করা হয় জ্যোতিষশাস্ত্রে। 

জ্যোতিষমতে মনে করা হয় চতুরমাসে এই প্রতিকারগুলি মানুষের জীবনে সুখ আর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনে। 

১. এই চার মাসে আরাধ্য দেবতার মন্ত্র বেশি করে জপ করা জরুরি। তাতে কেটে যায় যেকোনও বাধা আর বিপত্তি। দূর হয় অশুভ শক্তিষ 

২. এই চার মাস বেশি করে দান ধ্যান করতে হয়। অভাবীদের খাদ্য সামগ্রীর সঙ্গে চটি জুতো ছাতা আর কাপড় দান করতে পারেন। 

৩. হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী এই চার মাস গোমাতার যত্ন নেওয়া খুব শুভ। গরুর যন্ত নিতে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা পাওয়া যায়। এই চার মাসের মধ্যে যে কোনও সময় গরু দান করাও যায়। তাহলে ঋণের সমস্যা দূর হয়। 

৪. এই চার মাস সূর্য দেবতা, ভগবান বিষ্ণু , শিব, গণেশ ও দেবী পার্বতীর পুজো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। হিন্দু আচার অনুযায়ী এই সময়ই দূর্গা পুজো ও গণেশ পুজো হয়। আর শ্রাবণ মাসে যেকোনও মানুষই শিবকে পুজো করতে পারেন। আর এই চার মাসের মধ্যেই পড়ে জন্মাষ্টমী- যেদিন ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয়। 

৫. এই চার মাস ছোলা আর গুড় দান করলে চাকরি সমস্যা দূর হয়। ব্যবসায় সাফল্য মেলে। কর্মক্ষেত্র সফল হওয়া যায়। 

৬. এই চার মাস যে কোনও সময় মন্দিরে কপূর দান করতে পরিবারের সমস্ত অশান্তি দূর হয়। দাম্পত্য সুখের হয় বলেও হিন্দু শাস্ত্রে মনে করা হয়।