সংক্ষিপ্ত
পরিবারের উন্নতির জন্য জরুরি সদর দরজা। সদর দরজার কখনও কালো রঙ করবেন না। দক্ষিণ দিকে যেন না হয় দরজা।
ঘরের শান্তি ও উন্নতি আর প্রশান্তির অনেকটাই নির্ভর করে সেই বাড়িটি কতটা বাস্তুশাস্ত্র সম্মত। কারণ বাস্তুশাস্ত্রের নিয়ম না মেনে বাড়ি তৈরি করলে ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। বাড়ির মূল দরজা বা সদর দরজার ওপরে অনেকটাই নির্ভর করে সেই বাড়ির বাসিন্দাদের উন্নতি। কারণ কোনও একটি বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলে সদর দরজাই মূল অংশ। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির সরদ দরজা থাকা উচিৎ উত্তর, উত্তর-পূর্ব, পূর্ব বা পশ্চিম মুখে। বাস্তুমতে এই দিকগুলি শুভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
দরজার দিক
বাড়ির তৈরির সময়ই খেয়াল রাখুন দক্ষিণ দিকে কখনই সদর দরজা বানাবেন না। পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকও এড়িয়ে যেতে পারলে ভালো হয়। সদর দরজা যাতে অন্যান্য দরজার চেয়ে বড় হয় তার দিকে গুরুত্বদিন। খেয়াল রাখুন এটি যেন ডান দিক থেকে বাঁ দিকে খোলা যায়।
দরজার উপাদান
বাড়ির সদর দরজা সর্বাধিক মঙ্গলময়। সদর দরজা যদি দক্ষিণে হয় তাহলে অবশ্যই কাঠ ও ধাতু দুটোই ব্যবহার করতে হবে। উত্তর দিকে যদি সরদ দরজা তৈরি করেন তাহলে সবসয়মই রুপোলি রং ব্যবহার করুন। পূর্ব দিকে দরজা হলে কাঠের দরজা তৈরি করে সেখানে কিছু ধাতব পদার্থ রাখতেই পারেন। তাতে মঙ্গল বসে নিয়ে আসেন ভাগ্যদেবী।
পরিষ্কার দরজা
দরজার চারপাশ অবশ্যই পরিষ্কার করে রাখবেন। না হলেই বাড়িতে আশুভ শক্তির প্রবেশ হতে পারে। দরজার কাছাকাছি ডাস্টবিন, ভাঙা চেয়ার বা টুল রাখবেন না। দরজায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আলোর ব্যবস্থা করুন। দারজার উল্টোদিকে কখনই আয়না রাখবেন না। তাতে শুভশক্তি ঠিকরে বাইরে চলে যেতে পারে। দরজায় একটা স্বস্তিক চিহ্ন রাখতে পারলে খুবই ভালো হয়।
বাস্তু অনুসারে দরদার সজ্জা
দরজায় আলো লাগান। ভুলেও লাল আলো লাগাবেন না। সন্ধ্যেবেলা দরজার আলো জ্বেলে রাখুন। দরজার পাশে সবুজ রঙের গাছ রাখতে পারেন. ক্যাকটাস রাখবেন না।
দরদার কবজাগুলিতে নিয়মিত তেল দিন যাতে সহজে খোলা ও বন্ধ করা যায়।
দরজায় নেমপ্লেট রাখুন।
দরজায় উন্নতমানের কাঠ ব্যবহার করুন।
দরজার ধারেকাছে কোথায় কোনও ছবি রাখবেন না। এড়িয়ে চলুন জল প্রাণী যুদ্ধের ছবি।
দরজায় কালো রঙ দেবেন না। সদর দরজা রঙ করার আগে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।