সংক্ষিপ্ত

চাণক্য তার নীতিতে বলেছেন যে ভয় থেকে কখনই পালিয়ে যাওয়া উচিত নয় কারণ এটি যে কোনও কাজের সাফল্যকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। চাণক্য নীতিতে বলা হয়েছে যে একজন ব্যক্তির সঙ্কটের সময়ে কিছু জিনিসের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।

আচার্য চাণক্য ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং গুণে পরিপূর্ণ। আচার্য চাণক্য তার বুদ্ধিমত্তা দক্ষতা এবং কঠোর অধ্যয়নের মাধ্যমে জীবনে সাফল্য পেতে অনেক নীতি তৈরি করেছিলেন। আমরা যদি আমাদের জীবনে এই নীতিগুলি বাস্তবায়ন করি তবে আমরা অবশ্যই সাফল্য পাব এবং আমরা আনন্দিত বোধ করব। 

আচার্য চাণক্য তার নীতির জোরে মৌর্য রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে তিনি তার নীতি বইয়ের মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। আচার্য চাণক্য তাঁর একটি নীতিতে বলেছেন যে জীবনে অর্থ, জ্ঞান এবং খাদ্য-সম্পর্কিত কার্যকলাপে কখনও লজ্জিত হওয়া উচিত নয়। যে এই জিনিসগুলিতে লজ্জা পায় সে জীবনে এগিয়ে যেতে পারে না। আচার্য চাণক্য এই নীতি খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন।

অনেক সময় মানুষ তার ভালো মন্দ বুঝতে পারে না। কিন্তু আমাদের ধর্মে এমন কিছু শাস্ত্র আছে, যা দেখে আমরা জীবনে যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি। আচার্য চাণক্য এই জ্ঞান আমাদের সকলের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। এমন কিছু বিষয় আজ আপনাদের সচেতন করতে চলেছে। চাণক্য তার নীতিতে বলেছেন যে ভয় থেকে কখনই পালিয়ে যাওয়া উচিত নয় কারণ এটি যে কোনও কাজের সাফল্যকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। চাণক্য নীতিতে বলা হয়েছে যে একজন ব্যক্তির সঙ্কটের সময়ে কিছু জিনিসের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।

সঙ্কট মোকাবিলায় আচার্য চাণক্যের মত

১. সঙ্কটের সময়ে সবসময় সতর্ক থাকা উচিত। কারণ সংকটের সময় একজন ব্যক্তির সুযোগ সীমিত থাকে এবং চ্যালেঞ্জগুলি বড় হয়।

২. এমন পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তির যে কোনও ছোট ভুল বড় ক্ষতি করে। তাই এমন সময়ে সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। 

৩. আচার্য আরও বলেছেন যে একজন ব্যক্তির কঠিন সময় থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একটি শক্ত কৌশল প্রয়োজন। সেই কৌশল ঠান্ডা মাথায় নিতে হয়

৪. সঙ্কট বা বিপদের সময় খুব কৌশলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিজের অনুকূলে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে হয়

৫. বিপদের সময় মানুষ চেনা যায়, তাই খুব বিশ্বাসী কাউকে ছাড়া বিশেষ কাউকে ভরসা না করাই ভালো

৬. যে কোনও জীবনের সঙ্কট বা বিপদ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে আর কখনও সেই বিপদে পড়তে না হয়। 

চাণক্য প্রণীত সেই সমস্ত নীতির সংগ্রহ চাণক্য নীতি শাস্ত্রে রয়েছে। তাঁর সেই সব নীতিবাক্য মানুষের চিন্তাভাবনার পরিবর্তনের পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনকে উন্নত করে। তাই চাণক্য নীতি মেনে চললে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব জীবনের ওপর পড়ে।