সংক্ষিপ্ত
হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, বাসভন্নের জন্ম শুক্লপক্ষের বৈশাখ মাসের তৃতীয় দিন। আজ পালিত হচ্ছে বাসভ জয়ন্তী। এটি হিন্দু উৎসবের মধ্যে অন্যতম। কর্ণাটক ও দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য অংশে লিঙ্গায়তদের দ্বারা পালিত হচ্ছে ভগবান বাসভন্নের জন্মবার্ষিকী।
হিন্দু শাস্ত্রে উল্লেখ আছে একাধিক উৎসবের। প্রতি মাসে থাকে বিশেষ কোনও দেব দেবীর পুজো, অথবা থাকে কোনও না কোনও উৎসব। বিভিন্ন শহরে সেজে ওঠে এই সকল উৎসব উপলক্ষে। সেই মতে আজ পালিত হচ্ছে বাসভ জয়ন্তী। এটি হিন্দু উৎসবের মধ্যে অন্যতম। কর্ণাটক ও দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য অংশে লিঙ্গায়তদের দ্বারা পালিত হচ্ছে ভগবান বাসভন্নের জন্মবার্ষিকী।
দ্বাদশ শতাব্দীর একজন কবি ও দার্শনিক ছিলেন বাসভন্ন। তিনি লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, বাসভন্নের জন্ম শুক্লপক্ষের বৈশাখ মাসের তৃতীয় দিন। সেই অনুসারে এপ্রিল ও মে মাসে পড়ে তিথি। তিথি অনুসারে আজ অক্ষয় তৃতীয়ার দিন পালিত হচ্ছে বাসভ জয়ন্তী। শুধু অক্ষয় তৃতীয়া নয়, ঈদ ও বাসভ জয়ন্তী পালিত হচ্ছে একই দিনে। এই দিন সকালে শোভাযাত্রা বের হয়, তারপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দ্বারা পালিত হয় বাসভ জয়ন্তী।
বাসভন্ন ১২ শতকের হুনগুন্ড থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাগেওয়াড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। আবার কয়েকজন ঐতিহাসিকদের মতে, তিনি ইঙ্গলেশ্বরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল মাদারাস ও মাতার নাম মাদালামবে। তাঁর শৈশব কেটেছিল কুদালসঙ্গমায়।
বাসভন্ন ছিলেন একজন কবি, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি কবিতার মাধ্যমে সামাজিক জাগরণ ছড়ান। লিঙ্গ বা সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করেছিলেন। তিনি সমাজের সব স্তরের মানুষের হয়ে লড়াই করেছিলেন। তাঁর অবদান আজও মনে রেখেন সেখানের সকল মানুষজন।
বাসভন্ন ছিলেন দেশের অন্যতম সেরা সমাজকর্মী। কর্ণটকে ভক্তি আন্দোলনের দুটি প্রাথমিক শ্রেণী ছিল। ভক্তি আন্দোলনের শেষের দিকে, বাসভন্ন চালিয়ে যান। তিনি শরানা সম্প্রদায়ের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছে। যা অক্কা মাহাদেবী ও আল্লাম প্রভুর মতো মহান সমাজ সংস্কারক ও কবি তৈরি করেছিলেন। তাঁর বিশ্বাস ও শিক্ষা ছিল অসাধারণ। তিনি সমাজের সকল কুপ্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করেন।
কর্ণটাকে বাসভ জয়ন্তীকে রাষ্ট্রীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কর্ণাটকে সমস্ত শহর ও গ্রামের লোকেরা জাঁকজমক পূর্ণ ভাবে দিনটি পালন করা হয়। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও অন্ধ্র প্রদেশে পালিত হয় এই উৎসব। সাধারণ লোকে মিষ্টি বিতরণ করে থাকেন এই উৎসব উপলক্ষে। সেখানের বিভিন্ন জায়গায় এই সময় ৬ থেকে ৭ দিন ধরে অনুষ্ঠান চলে। সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান হয় এই সময়।
আরও পড়ুন- শুভ অক্ষয় তৃতীয়া, জেনে নিন পবিত্র এই তিথি সম্পর্কিত ৭ বিশেষ বিষয়
আরও পড়ুন- মে মাস কেমন প্রভাব ফেলবে মিথুন রাশির উপর, জেনে নিন বিস্তারিত
আরও পড়ুন- জ্যোতিষশাস্ত্র মেনে উপহার দিন প্রিয়জনকে, সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে ভরে উঠবে জীবন