সংক্ষিপ্ত
আচার্য চাণক্য যা বলেছেন সবই তাঁর জীবনের সারমর্ম। আচার্য একজন মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
চাণক্য নীতি অনুসারে, শিশুদের খারাপ অভ্যাস থেকে দূরে রাখতে হবে। খারাপ অভ্যাস শিশুদের শিক্ষা ও কর্মজীবনের সাফল্যের অন্তরায়। চাণক্যকে ভারতের শ্রেষ্ঠ পণ্ডিতদের মধ্যে গণ্য করা হয়। চাণক্যকে আচার্য চাণক্যও বলা হয়। চাণক্য ছিলেন একজন দক্ষ অর্থনীতিবিদ পাশাপাশি একজন যোগ্য শিক্ষক। চাণক্য সম্পর্কে কথিত আছে যে, তার বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ছিল। চাণক্যের অর্থনীতির পাশাপাশি কূটনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে উচ্চতর জ্ঞান ছিল। চাণক্য প্রতিটি বিষয় খুব মনোযোগ নিয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন, যা মানুষ ও সমাজকে প্রভাবিত করে।
চাণক্য নিজেও একজন যোগ্য শিক্ষক ছিলেন এবং তাঁর সময়ের বিখ্যাত তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের শিক্ষা দিতেন। চাণক্য তার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান থেকে দেখেছেন যে শিশুদেরকে প্রথম থেকেই ভালো গুণাবলী গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এই গুণগুলোকে ধারণ ও আত্মস্থ করে জীবনকে সফল করা যায়। চাণক্য বিশ্বাস করতেন যে খারাপ অভ্যাসগুলি শিশুদের মধ্যে খুব দ্রুত প্রবেশ করে, তাই পিতামাতাদের সর্বদা শিশুদের সম্পর্কে সচেতন এবং সতর্ক হওয়া উচিত এবং এই অভ্যাসগুলি থেকে দূরে থাকা উচিত-
মিথ্যা- চাণক্য নীতি অনুসারে, শিশুদের মিথ্যা বলার অভ্যাস থেকে দূরে রাখতে হবে। এই সমস্যার প্রথম থেকেই যত্ন না নিলে পরবর্তীতে বড় সমস্যা ও ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই অভিভাবকদের উচিত শিশুদের এই অভ্যাস থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা।
অলসতা- চাণক্য নীতি বলে যে শিশুদেরকে শুরু থেকেই কঠোর পরিশ্রমের গুরুত্ব সম্পর্কে বলা এবং অনুপ্রাণিত করা উচিত। পরিশ্রমই সফলতার সবচেয়ে বড় অবদান। পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই জীবনে বড় সাফল্য পাওয়া যায়।
বিশৃঙ্খলতা- চাণক্য নীতির অনুযায়ী জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হল শৃঙ্খলা। শৃঙ্খলার চেতনা জাগ্রত করলেই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য অর্জন করা যায়। অভিভাবকদের উচিত শিশুদের শৃঙ্খলার গুরুত্ব জানানো এবং তা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা।
আচার্য চাণক্যের কথাগুলো শুনতে রূঢ় মনে হলেও বাস্তবে সেগুলোকে জীবনে গ্রহণ করলে বড় সড় সংকট থেকেও সহজে এড়াতে পারবেন। আচার্য চাণক্য যা বলেছেন সবই তাঁর জীবনের সারমর্ম। আচার্য একজন মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি সকল বিষয়ে তার গভীর জ্ঞান ছিল। আচার্য এতটাই অভিজ্ঞ ছিলেন যে, তিনি যে কোনও পরিস্থিতি আগে থেকেই দেখে নিতেন এবং তা মোকাবেলার কৌশল তৈরি করতেন।
আরও পড়ুন- পারিবারিক দুর্ভোগ কেটে যাবে পাতিলেবুর গুণে, পাতিলেবু দিয়ে এই বিশেষ টোটকা করুন
আরও পড়ুন- বাস্তুদোষে বাড়তে পারে ওজন, আজই বাড়িতে এই পাঁচটি পরিবর্তন করুন, কমবে মেদ
আরও পড়ুন- ২ দিনে ভাগ্য বদলে দেয় এই রত্ন, মিলবে অঢেল অর্থ ও দূর করে সকল ঝামেলা
এটি ছিল আচার্যের দক্ষ বুদ্ধি, যার ভিত্তিতে তিনি সমগ্র নন্দ রাজবংশকে ধ্বংস করে মৌর্য রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। আচার্য তার চাণক্য নীতি গ্রন্থে জীবনের প্রতিটি দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।