সংক্ষিপ্ত
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী ধনের অধিপতি হল কুবের। কথিত রয়েছে, যারা কুবেরের আশীর্বাদ পায় তাদের কোনও দিনও অর্থ বা সম্পদের অভাব হয় না। প্রাচীনকাল থেকেই কুবেরকে তুষ্ট করার প্রথা চলে আসছে হিন্দু সমাজে।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী ধনের অধিপতি হল কুবের। কথিত রয়েছে, যারা কুবেরের আশীর্বাদ পায় তাদের কোনও দিনও অর্থ বা সম্পদের অভাব হয় না। প্রাচীনকাল থেকেই কুবেরকে তুষ্ট করার প্রথা চলে আসছে হিন্দু সমাজে। প্রাচীনকালে মানুষ কুবেরের পুজো করছে সম্পদ আর শস্যলাভের জন্য । এখনও সেই প্রথা চলে আসছে। তিনটি মন্ত্র রয়েছে দেবতা কুবেরকে তুষ্ট করার জন্য।
কুবের দেবের অদম্য মন্ত্রঃ
এই মন্ত্রটি কুবের দেবের অত্যান্ত প্রিয়। এই মন্ত্রটি একটা তিন মাস জপ করতে হবে। কোনও দিন বাদ দেওয়া যাবে না। এই মন্ত্রটির জপ করলে কোনও দিনও অর্থ আর শস্যের অভাব হবে না বলেও হিন্দু শাস্ত্রের বিশ্বাস। মন্ত্রটি হল- যক্ষয় কুরেবায় বৈশ্রব ধন্যাধিপতিয়ে ধ্যান্যা সমৃদ্ধি মায়ে দে দপে স্বাহা।
জপের পদ্ধতিঃ
জ দক্ষিণ দিকে মুখ করে এই মন্ত্রটি দিনে ১০৮ বার জপ করুন। মন্ত্রটি জপ করার সময় ধনলক্ষীর প্রতীক একটি কড়ি হাতে রাখুন। প্রাচীন বিশ্বাস কোনও গাছের নিচে বসে এই মন্ত্র জপ করছে দ্রুত সুফল পাওয়া যায়।
অষ্টলক্ষী কুবের মন্ত্রঃ
এই মন্ত্রটি দেবী লক্ষ্মী ও কুবের মন্ত্র। কথিত রয়েছে যে ব্যক্তি আন্তরিক ভাবে এই মন্ত্রটি পাঠ করবেন তাঁর সকল কষ্ট দূর হবে। মন্ত্রটি জপ করলে ধন, মর্যাদা, প্রতিপত্তি আর সৌভাগ্য আসে। শুক্রবার রাতে এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে।
মন্ত্রটি হল-
ওম হ্রিম শ্রী ক্রীম কুবেরায় অষ্ট লক্ষ্মী মম গৃহে ধনম পুরায় পুরায় নমঃ
ধন সম্পদ লাভের জন্য কুবের মন্ত্রঃ
এই মন্ত্রটি জপ করলে বৈষয়িক সুখ পাওয়া য়ায়। টাকা ও খাবারের কোনও অভাব হয় না। কুবেরের এই মন্ত্রটি প্রতিদিন জপ করা উচিৎ। তাহলে কোনও দিনও আর্থিক সংকটে পড়তে হয় না।
মন্ত্রটি হল- ওম শ্রীম হ্রীম ক্লীম শ্রী ক্লীম বিত্তোশ্বারয়া নমঃ
মনে রাখবেন কুবেরের অস্থান হল দক্ষিণ দিকে। বাকি সব দেবতার অবস্থান যদিও উত্তরে। মনে করা হয়ে সমুদ্রেই থাকতেন কুবের। তাই এই মন্ত্র সবর্দাই দক্ষিণ মুখে বসে পাঠ করবেন। কুবের মন্ত্র জপের পর অবশ্যই ধলক্ষ্মীর প্রতীক কড়িকে একবার প্রমাণ করবেন। একই সঙ্গে বিষ্ণু ও লক্ষ্মীও স্মরণ করবেন। মহাদেবকেও স্মরণ করা জরুরি। কুবের মন্ত্র সকালে বা সন্ধ্যা দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় জপ করবেন।