সংক্ষিপ্ত
ভীষ্ম অষ্টমী (Bishma Ashtami) তিথি শুরু হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬.১৬ মিনিট থেকে। আর শেষ হচ্ছে ৯ ফেব্রুয়ারি ৮.৩১ মিনিটে। পুজোর শুভ মুহূর্ত হল সকাল ১১টা ২৯ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত। রাহুকাল ৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ৩টে থেকে ৪টে ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয় ভীষ্ম অষ্টমী। হিন্দু মতে, এই দিন থেকে সূর্যের উত্তরায়ণ শুরু। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে প্রাণত্যাগ করেছিলেন ভীষ্ম। সেই থেকে এই দিনটি পালিত হয় ভীষ্মের মৃত্যুবার্ষিকী হিসেবে পালিত হয়। সারা দেশে দিনটি ভীষ্ম অষ্টমী (Bishma Ashtami) হিসেবে পরিচিত। এদিন ভীষ্ম অষ্টমী তিথি শুরু হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬.১৬ মিনিট থেকে। আর শেষ হচ্ছে ৯ ফেব্রুয়ারি ৮.৩১ মিনিটে। পুজোর শুভ মুহূর্ত হল সকাল ১১টা ২৯ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত। রাহুকাল ৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ৩টে থেকে ৪টে ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
মহাভারত অনুসারে মহারাজ শান্তনু এবং গঙ্গা পুত্র ছিলেন ভীষ্ম। প্রথম জীবনে তাঁর নাম ছিল সিদ্ধার্থ। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় সিংহাসনের মোহ ত্যাগ করেছিলেন। এমনকী সারা জীবন বিবাহ না করার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর এই কঠিন প্রতিজ্ঞার জন্য তিনি ভীষ্ম নামে খ্যাত। তিনি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে প্রাণ ত্যাগ করেছিলেন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে মহাবীর ভীষ্ম একাই পাণ্ডবদের সৈন্যবল ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। ভীষ্মকে নিরস্ত করতে শিখণ্ডীকের সামনে দাঁড় করিয়ে বাণ নিক্ষেপ করেছিলেন অর্জুন। তিনি ৮ দিন ধরে শরশয্যায় শায়িত হয়ে উত্তরায়ণের অপেক্ষা করেছিলেন। তারপর যুদ্ধ ক্ষেত্রে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমীতে প্রাণ ত্যাগ করেন। তিনি ইচ্ছা মৃত্যুর আশীর্বাদ পেয়েছিলেন। শ্রী কৃষ্ণের আদেশে শরশয্যায় শায়িত পিতামহ ভীষ্মকে দেখতে গিয়েছিলেন যুধিষ্ঠির। কথিত আছে, বীর ভীম উত্তরায়ণের সময় তিনি মৃত্যু বরণ করেন। সেই থেকে এই দিনটি পালিত হচ্ছে ভীষ্ম (Bhisma) অষ্টমী হিসেবে।
এদিনে অনেকে তর্পন করেন। প্রচলিত ধারণা অনুসারে, যারা নিজেদের বাবাকে হারিয়েছেন, তারা অনেকে এই দিন ভীষ্মের নামে তর্পন করেন। বাবা জীবিত থাকলেও এদিন ভীষ্মের উদ্দেশ্যে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করা যায়। হিন্দু শাস্ত্রে, মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শুভ সময় হিসেবে বিবেচিত হয়। এই দিন মহাবীর ভীষ্মের পুজো করা হয়। প্রচলিত আছে, এই অষ্টমী পালন করলে সুসন্তান প্রাপ্তি হয়। এছাড়াও, সন্তানের মঙ্গল কামনায় এই পুজো করে থাকেন অনেকে। একদিকে পূর্ব পুরুষকে শ্রদ্ধা জানাতে যেমন এই দিনটি পালন করা হয়, তেমনই সুসন্তান লাভের উদ্দেশ্যে পালিত হয় ভীষ্ম অষ্টমী।