সংক্ষিপ্ত
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী জ্যৈষ্ঠ মাসে ভগবান শ্রী বিষ্ণু, সূর্য দেবতা আর হনুমানজির বিশেষ পূজো হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রতিটি মঙ্গলবার বিশেষ ভাবে পালন করা উচিৎ।
জ্যৈষ্ঠ মাস- বাংলার মাসগুলির মধ্যে রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসের দিনগুলি অনেকটা বড় হয়। আর রাতগুলি হয় খুব ছোট। এই মাসে সূর্যের রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে এসে পড়ে। সেই কারণে এই মাসটি যথেষ্ট গরম অনুভূত হয়। বিজ্ঞানের দিক থেকে এই মাস যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই জ্যোতিষমতেও এই মাসের গুরুত্ব অনেক।
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী জ্যৈষ্ঠ মাসে ভগবান শ্রী বিষ্ণু, সূর্য দেবতা আর হনুমানজির বিশেষ পূজো হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রতিটি মঙ্গলবার বিশেষ ভাবে পালন করা উচিৎ। কারণ মঙ্গলবার হনুমানজির পুজো করা হয়। জ্যৈষ্ঠা মাসের প্রথম মঙ্গলবারকে বড় মঙ্গলবার বলা হয়। মনে করা হয় এই দিন শ্রীরামচন্দ্র হনুমানের সঙ্গে প্রথমবার দেখা করেছিলেন। এই বছর জ্যৈষ্ঠ মাস বিশেষ শুভমাস হিসেবে পরিচিত। কারণ এই বছর মঙ্গলবার জ্যৈষ্ঠ মাস শুরু হয়েছিল। আর শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার দিয়ে। এই বছর এই মাসে পাঁচটি মঙ্গলবার পড়ছে।
জ্যৈষ্ঠ মাসে এই কাজগুলি করলে শুভ ফল পাবেনঃ
মহাভারত অনুসারে জ্যৈষ্ঠ মাসে যাদের জন্ম তারা এমনিতেই অনেক ধনসম্পত্তির মালিক হতে পারেন। তবে জৈষ্ঠমাসে একবেলা আহার করলে সুফল পাওয়া যায়। প্রশন্ন হন ভগবান বিষ্ণু। এই মাসে প্রতিদিন তুলসী, বট আর অশ্বত্থগাছে জল দিতে পারেন। তাহলে অর্থ কষ্টে পড়তে হবে না।
জ্যৈষ্ঠ মাসে গোপাল পুজো করতে পারেন। তবে ভোগ হিসেবে অবশ্যই মাখন আর মিছরি দেবেন। গোপলকে চন্দনের সজ্জা দিন।
জ্যৈষ্ঠমাসে পশুপাখি আর প্রাণীর জন্য দানা আর জলের ব্যবস্থা করতে পারেন। তাদের সূর্যদেব প্রসন্ন হন। এই মাসে খুব গরম থাকে। তাই এই ব্যবস্থা করা ভালো। এই মাসে পশু ও পাখিকে জল দিলে গ্রহদোষ কেটে যায়।
এই মাসে মানুষকে ছাতা, খাবার আর পাণীয় দান করতে পারে।
গোশালায় সবুদ ঘাস দান করুন।
জ্যৈষ্ঠমাসে প্রতিদিন শিবলিঙ্গকে স্নান করান।
এই মাসে হনুমানজীর পুজো করুন। এই মাসটি হনুমানজির মাস বলে গণ্য হয় ।
জ্যৈষ্ঠ মাসে সকালে উঠে মা লক্ষ্মীর ধ্যান করলে সহজে আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
জ্যোতিষ অনুযায়ী এই মাসের অধিপতি মঙ্গল। তাই মঙ্গলবারে কোনও শুভ কাজ করতে পারে। এই দিনে দানধ্যান করতে পারেন।
জ্যৈষ্ঠমাসে ভুলেও এই কাজগুলি করবেন না-
এই মাসে ভুলেও বেগুন খাবেন না।
জ্যৈষ্ঠমাসে দিনের বেলা বা দুপুর বেলা কখনই ঘুমাবেন না।