সংক্ষিপ্ত

জানেন কি তুলসীর সবুজ পাতা ছাড়াও শুকনো পাতাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাঁ, এটা বিশ্বাস করা হয় যে তুলসী পাতা কখনও বিবর্ণ হয় না।

হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। তুলসী ছাড়া ভগবান বিষ্ণুর কোনো পূজা সম্পূর্ণ বলে মনে করা হয় না। এই কারণেই তুলসীকে বিষ্ণু প্রিয়াও বলা হয়। এটিকে মা লক্ষ্মীর বাসস্থান বলে বিশ্বাস করা হয়। শাস্ত্রমতে, যেসব বাড়িতে তুলসী গাছ সবুজ থাকে, সেখানে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি সুখ থাকে। তুলসীর গুরুত্ব শুধু শাস্ত্রেই বলা হয়নি, আয়ুর্বেদে তুলসীকে অমৃত হিসেবে ধরা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা তুলসী গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালানো খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও পূজায় তুলসীর সবুজ পাতা ব্যবহার করা হয়। 

কিন্তু জানেন কি তুলসীর সবুজ পাতা ছাড়াও শুকনো পাতাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাঁ, এটা বিশ্বাস করা হয় যে তুলসী পাতা কখনও বিবর্ণ হয় না। তাই পূজায় তুলসীর শুকনো পাতাও ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে শুকনো তুলসী পাতা কীভাবে ব্যবহার করবেন, তা জেনে নিন। কারণ শুকনো তুলসী পাতার ব্যবহার খুলে দিতে পারে আপনার ভাগ্য। 

- তুলসী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে তুলসী পাতা প্রায় ১৫ দিন ধরে ভগবান কৃষ্ণের জন্য একটি নৈবেদ্য হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

- এ ছাড়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশুরূপকে স্নান করার সময় তুলসীর শুকনো পাতা জলে ডুবিয়ে রাখতে পারেন। শুধু তাই নয়, স্নান করার জলে শুকনো তুলসী পাতাও মেশাতে পারেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি শরীর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করে।

- বাড়িতে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের বইয়ের মাঝে শুকনো তুলসী পাতা রাখতে পারে। এতে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বাড়ে, এবং প্রতিটি কাজ ইতিবাচক উপায়ে সম্পন্ন হয়।

- শুকনো তুলসী পাতা একটি লাল কাপড়ে মুড়িয়ে ড্রয়ার, আলমারি বা পার্সে রাখুন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই কাজ মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ এবং অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে আসে।

- গঙ্গা জলে শুকনো তুলসী পাতা রেখে সারা ঘরে এই জল ছিটিয়ে দিন। এমনটা করলে ঘরের নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয় এবং পজিটিভ শক্তি বাস করে।

- শুকনো তুলসী পাতা স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন জলের সাথে তুলসীর ৭টি শুকনো পাতা গিলে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।