সংক্ষিপ্ত

 কোনও সম্পর্কে জড়ানোর আগে বিপক্ষের সেই মানুষটির কতটা আবেগপ্রবণ তা জেনে নেওয়া অত্যান্ত জরুরি। কারণ প্রতিপক্ষের যদি আবেগ কম থাকে তাহলে সে আপনার আবেগকে গুরুত্ব দেবে না। আবার আপনার থেকে যদি বেশি আবেগপ্রবণ হয় তাহলে সেই মানুষটিকে নিয়ে প্রতি পদেই সমস্যা তৈরি হতে পারে। 

আবেগ এমনই একটি বিষয় যা প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই থাকে। কারও কম- কারও আবার বেশি। কিন্তু আপনি জানেন কি এই অবেগের তারতম্যও ঘটে রাশিফল অনুযায়ী। কিছু মানুষ আছেন যাঁরা প্রচন্ড অবেগপ্রবণ হন। অনেকেই আবার আবেগকে চেপে রাখেন। বুক ফেটে গেলেও তাঁদের মুখ ফোটে না। অবার অনেকের আবেগ খুব কম। প্রায় শূন্য। কিন্তু কোনও সম্পর্কে জড়ানোর আগে বিপক্ষের সেই মানুষটির কতটা আবেগপ্রবণ তা জেনে নেওয়া অত্যান্ত জরুরি। কারণ প্রতিপক্ষের যদি আবেগ কম থাকে তাহলে সে আপনার আবেগকে গুরুত্ব দেবে না। আবার আপনার থেকে যদি বেশি আবেগপ্রবণ হয় তাহলে সেই মানুষটিকে নিয়ে প্রতি পদেই সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর সেটা জানার সবথেকে ভালো উপায় হল সংশ্লিষ্ট মানুষটির রাশিফল থেকেই তাঁর আবেগ সম্পর্কে একটি ধারনা করা যায়। 

বৃশ্চিক- এই রাশির জাতক বা জাতিকারা প্রবল আবেগ প্রবন হন।  এরা এতটাই আবেগ প্রবন হন যে কোনও একটি বিষয় এদের মাথায় ঢুকলে তা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বা সেই কাজটি শেষ না করা পর্যন্ত হাল ছাড়তে রাজি নন। মন দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রেও এরা একই রকম আবেগপ্রবণ হয়। যাকে এরা চায় তাকে পুরোপুরি নিজের করে পাওয়ার জন্য সব কিছু করতে রাজি হয় এরা। এরা প্রচন্ড দৃঢ়চেতা হন। তবে এবার কিন্তু এদের প্রতিশোধ স্পৃহা প্রবল। কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে বা অপমান করলে এরা প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত স্বস্তি পায় না। 

কর্কট রাশি-
এরা সর্বদা সুস্থ সম্পর্কে বিশ্বাস করে। এরা কারও প্রতি আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তেমনভাবে আগুপিছু ভাবতে চায় না। সেই ব্যক্তিকে পাওয়ার জন অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারে। এই রাশির জাতকরা নিজের ভালোবাসা পেতে সবকিছু করতে পারে। কোনও ভয় না পেয়েই এরা এগিয়ে যেতে চায়। তবে কর্কট রাশির জাতকদের এই মনোভাবের জন্য অনেক সময় এদের বিপদে পড়তে হতে পারে। অনেকেই এদের এই মনোভাবের সুবিধে নেয়। 

বৃষরাশি- এই রাশির জাতকরা প্রচন্ডভাবে একগুঁয়ে প্রকৃতির হয়। কাউকে এরা চাইলে তাঁকে পাওয়ার জন্য খারাপ পথ অবলম্বন করতে এরা ভয় পায় না। এরা নিজেদের জেদে অনড় থাকার জন্য বিশ্বকে ব্ল্যাক আউট করে দিতে পারে। সেই সময় এদের বিভ্রান্ত করা খুব একটা সহজ কথা নয়। এরা সর্বদা এদের প্রাপ্য বুঝে নিতে চায়। 


মীন রাশি- এই রাশির জাতকরা অনেকটা মুক্ত আত্মার মত। এরা খুবই কল্পনা প্রবণ হয়। নিজের মধ্যেই বা নিজেকে নিয়েই আচ্ছন্ন থাকতে ভালবাসে বহির্বিশ্বের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ রাখতে চায় না। এরা খুবই সৃজনশীল হয়। মানসিক উদ্দীপনা খুঁজে পায় যাতে তারপর এদের অবশেসন প্রচুর। এদের আবেগ এমন হয় যে এরা কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কিছুই চিন্তাভাবনা করে না। 

তুলা রাশি- 
এরা কখনই একা থাকতে চায় না। এরা চায় সর্বদা এদের ঘিরে থাকুক অনুগামীরা। এরা খুব রোমান্টিক প্রকৃতির হয়। বন্ধু বা প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে স্বপ্নের জগতে বিচরণ করে। তবে এরা কিছু চাইলে না পাওয়া পর্যন্ত শান্ত হতে পারে না। তবে এদের মন দেওয়া নেওয়ার পালা চলতেই থাকে। কোনও একজনের ওপর থিতু হতে চায় না এদের মন। 

মেষ রাশি- এরা কিন্তু খুব আবেগপ্রবণ হয়। এরা কাউকে চাইলে তাকে না পাওয়ার পর্যন্ত সবরকম চেষ্টা করতেই থাকে। তবে এরা বেশি দিন কোনও একজনের ওপর মননিবেশ করতে পারে না। তবে জয় পেতে খুব ভালোবাসে। যেকোনও প্রতিযোগিতায় সফল হওয়াই এদের প্রধান টার্গেট। 

সিংহ রাশি- 
এরা খুব আত্মবিশ্বাসী হয়। প্রশংসা পেতে খুব পছন্দ করে। তবে এরা সাধারণত স্বার্থপর হয় না। এরা নিজেদের আবেগকে চেপে রাখাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য। মনের মধ্যে প্রেমকে লুকিয়ে রাখে। নিজের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে মরিয়া চেষ্টা করে এরা। 

কন্যা রাশি- 
এরা পারফেক্ট হওয়ার দিকে বেশি জোর দেয়। কঠোর পরিশ্রম করে। সাফল্যই এদের একমাত্র লক্ষ্য। এটাই এদের আবেগ। এরা একসঙ্গে অনেক কাজ করতে পারে। এরা একটাই কঠোর যে এদের দমিয়ে রাখা যায় না। কাজ অন্ত জীবন এদের। এরা খুব সতর্ক হয়। মনকে নিজের বশে রাখতেই ভালবাসে। 

মকর- 
এরা খুবর কর্মোঠো হয়। এদের মধ্যে আবেগ নেই বললেই চলে। কোনও কিছু ভালো লাগলে সেটার ওপর মন দেয়। কিন্তু নিজের অবস্থান সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকে। এরা কাজ করতে ভালোবাসে।

মিথুন রাশি- 
এরা সর্বদা পরিবর্তনশীন মনের হয়। এরা সহজেই কারও ওপর বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পডডে না। তবে এরা জীবনে গতি পছন্দ করে। তবে এদের মানসিকতা আর মনোভাব একতাই ভিন্ন ধারার হয় যে কারও কাছেই এরা সহজে ধরা পড়ে না। 
 

কুম্ভ রাশি-
কুম্ভরাশি আবার আবেগপ্রবণ মানুষদের একদম পছন্দ করে না। এরা সাধারণত স্রোতের বিপরীতে হাঁটতেই ভালবাসে। তবে এরা অনুভূতি আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। 

ধনু রাশি- 
এবার আবেগপ্রবণ হয়। বিমামূল্যেই যাকে চায় তার জন্য সবকিছু করতে পারে। তবে এরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। কখনই তা অন্যকে দিতে চায় না। এরা মুগ্ধ হয়। কিন্তু মনকে নিজেদের বশে রাখতে পারে।