সংক্ষিপ্ত

জ্যোতিষ শাস্ত্রে এমন কিছু টোটকার উল্লেখ আছে যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মানুষের স্বভাব ও আচরণ। অস্থির মনকে শান্ত করতে পারে এই সকল টোটকা। জেনে নিন কী করবেন

প্রতি মাসেই কোনও না কোনও গ্রহের পরিবর্তন ঘটে যায়। আর তার জেরে বিভিন্ন রাশিতে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়ে। আর এই গ্রহ নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের ভাগ্য। অনেক সময় মানুষের ব্যবহার ও স্বভারের মতো আচরণের ওপরও রাশির প্রভাব পড়ে। যেমন ধরা যাক, হট করে লক্ষ করছেন আপনার মন অস্থির হচ্ছে অথবা কারণ ছাড়া রাগ করছেন। এমন ধরনের আচরণ থেকে মুক্তির জন্য সকলেই মেডিটেশনের পরামর্শ দিয়ে থাকে। তবে, জানেন কি মন শান্ত রাখতে পারেন জ্যোতিষ মতেও। জ্যোতিষ শাস্ত্রে এমন কিছু টোটকার উল্লেখ আছে যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মানুষের স্বভাব ও আচরণ। অস্থির মনকে শান্ত করতে পারে এই সকল টোটকা।  

১. সন্তানের অস্থির মনোভাব নিয়ে অনেক মা-বাবারাই চিন্তায় ভোগেন। পড়ায় মন না বসা, চঞ্চল স্বভাব, অস্থির মনোভাব দেখা যায় অনেক বাচ্চার মধ্যে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাচ্চাকে একটি আংটি ধারণ করান। অর্ধেক রুপা ও অর্ধেক সোনা দিয়ে তৈরি আংটি বানান। যে কোনও বৃহস্পতিবার হাতে প্রথম আঙুলে পরান। কিছুদিনে ফারাক দেখবেন। এই টোটকা সব বয়সের লোকজনই মেনে চলতে পারেন। 
২. মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের মধ্যে অল্পে রেগে যাওয়ার স্বভাব দেখা যায়। সামান্য কারণে, তারা রেগে যান। এই রাশির জাতক-জাতিকারা নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য এটা সব থেকে সব থেকে সেরা উপায়। 

৩. জ্যোতিষ মতে, রেমিডি শুধু পাথর নয়, বিভিন্ন গাছের মূলেও লুকিয়ে আছে। তাই যারা পাথর ধারণ করতে চান না, জ্যোতিষীরা মূল পরার পরামর্শ দেন। যে কোনও বাধা কাটাতে, শরীর সুস্থ রাখতে, কর্মে উন্নতি-সকল ক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা মূল ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে, অশ্বগন্ধা মূল ধারণ করলে মন শান্ত থাকে। যে কোনও শনিবার ধারণ করতে পারেন। চঞ্চল মন শান্ত হবে এই মূলের গুণে।  
৪. মন শান্ত রাখতে দুধ উপকারী। একটি ছোট পাত্রে দুধ ঢেলে তা কোনও দরিদ্র মানুষকে দান করুন। এই টোটকা মন শান্ত রাখবে। তাছাড়া, যে কোনও বুধবার মন্দিরে গিয়ে গরীবদের দই দান করতে পারেন। উপকার পাবেন। তা না হলে মাথায় তিলক কাটুন। চন্দনের সঙ্গে জাফরান ও হলুদ মিশিয়ে তিলক বানান। নিয়মিত পুজোর পর এই তিলক পরুন। এতে মন শান্ত হবে।