সংক্ষিপ্ত

ভগবান হনুমানও তাঁর ভক্তদের সকল প্রকার রোগ থেকে মুক্তি দেন। তাই আসুন আমরা আপনাকে কিছু বিশেষ প্রতিকার বলি, যার মাধ্যমে আপনি বজরঙ্গবলীকে প্রসন্ন করে বিশেষ কৃপা পেতে পারেন।
 

সপ্তাহের সাত দিনের হিন্দুধর্মে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এবং প্রতিটি দিনই কোনও না কোনও দেবতাকে উৎসর্গ করা হয়। একই ভাবে, মঙ্গলবার গ্রহের সেনাপতি মঙ্গলকে উৎসর্গ করা হয় এবং এই দিনে বজরঙ্গবলীর পূজা করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে বজরঙ্গবলী যদি এতে সন্তুষ্ট হন, তবে তিনি বিশেষ আশীর্বাদ বর্ষণ করেন এবং তাঁর ভক্তদের জীবনে কখনও কোনও সমস্যা আসতে দেন না। এর সঙ্গে ভগবান হনুমানও তাঁর ভক্তদের সকল প্রকার রোগ থেকে মুক্তি দেন। তাই আসুন আমরা আপনাকে কিছু বিশেষ প্রতিকার বলি, যার মাধ্যমে আপনি বজরঙ্গবলীকে প্রসন্ন করে বিশেষ কৃপা পেতে পারেন।

বজরঙ্গবলীকে প্রদীপ দেখাতে হবে-
বজরঙ্গবলীর আশীর্বাদ পেতে মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালান। বাতি জ্বালানোর সময় লাল রঙের বাতি ব্যবহার করুন। তবে লাল বাতি না থাকলে ঘি-তে একটু সিঁদুর মেখে বজরঙ্গবলিকে প্রদীপ দেখান।

মঙ্গলবার হনুমান চালিসা পাঠ করতে হবে-
সপ্তাহের প্রতিদিন হনুমান চালিসা পাঠ করা উচিত, তবে তা সম্ভব না হলে মঙ্গলবার দুবার হনুমান চালিসা পাঠ করুন। আপনি দিনের যে কোনও সময় হনুমান চালিসা পাঠ করতে পারেন, তবে মনে রাখবেন যে বজরঙ্গবলীর মূর্তি বা ছবির সামনে বসে প্রদীপ জ্বালিয়ে তবেই হনুমান চালিসা পাঠ করুন। এতে পাঠের পূর্ণ সুফল পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন- ২০২২ সালে জন্মাষ্টমী ১৮ ও ১৯ আগস্ট দুই দিন থাকবে, জেনে নিন আপনার জন্য উপবাসের সঠিক তারিখ কোনটি

আরও পড়ুন- জন্মাষ্টমী ২০২২ এই বছরে এই দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, শুভ যোগ-সহ জেনে নিন গোপাল পুজো করার সঠিক তিথি ও সময়

আরও পড়ুন- দুর্বল বুধের প্রভাব জীবনে আনে অসংখ্য সমস্যা, জেনে নিন দুর্বল বুধের কী কী লক্ষণ

বজরঙ্গবলীকে প্রসাদ নিবেদন করুন-
বোঁদে বা বুন্দিয়া নৈবেদ্য ভগবান হনুমানের খুব প্রিয়। বজরঙ্গবলীর বিশেষ আশীর্বাদ পেতে হলে প্রতি মঙ্গলবার মন্দিরে গিয়ে এই প্রসাদ দিতে হবে। প্রসাদ নিবেদনের পর আশেপাশে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে বিতরণ করুন। এতে ভগবান হনুমান শুধু খুশি হন না, মঙ্গলের দোষ-ত্রুটিও শেষ হয়।

বজরঙ্গবলীকে তুলসীর মালা পরান-
বজরঙ্গবলীর বিশেষ আশীর্বাদ পেতে মঙ্গলবার ১০৮টি তুলসী পাতায় রামের নাম লিখে মালা তৈরি করে বজরঙ্গবলীকে পরান। এই প্রতিকারে মঙ্গলের সমস্ত প্রতিকূল প্রভাব শেষ হয় এবং সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বজরঙ্গবলীর এমন ভক্তের উপর শনিদেবও তাঁর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন।