সংক্ষিপ্ত

এখনও বহু মানুষ এই নীতি কথা মেনে চলেন। চাণক্য নীতিতে, আচার্য চাণক্য স্বর্গের কল্পনাকারীদের জন্য কিছু কথা বলেছেন। প্রত্যেকেরই উচিত এই বিষয়গুলো জানা এবং সেগুলো অর্জনের চেষ্টা করা।
 

আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিতে সে যুগে যে সমস্ত নীতিকথা লিখে গেছেন, এত বছর বাদে আজও সেই সমস্ত কথা প্রাসঙ্গিক। এই কারণেই এখনও বহু মানুষ এই নীতি কথা মেনে চলেন। চাণক্য নীতিতে, আচার্য চাণক্য স্বর্গের কল্পনাকারীদের জন্য কিছু কথা বলেছেন। প্রত্যেকেরই উচিত এই বিষয়গুলো জানা এবং সেগুলো অর্জনের চেষ্টা করা।

পুত্রের বাধ্য হওয়া- 
চাণক্য নীতি বলে যে পিতার সন্তানের বাধ্য তার জন্য পৃথিবীতে স্বর্গ রয়েছে। যে পিতার সন্তান তাকে লালন-পালন করে, যথাযথ সম্মান ও মান দেয়, সেই পিতা বড়ই ভাগ্যবান। বাবার জীবন সুখে ভরে যায়। এমন পিতার সম্মান ও মানও সমাজে বৃদ্ধি পায়। যোগ্য সন্তানের সুখ স্বর্গ লাভের চেয়ে কম নয়। এমন বাবা তার সন্তানের জন্য গর্বিত।

সুখে-দুঃখে সঙ্গী হওয়া উচিত স্ত্রী- 
চাণক্য নীতি অনুসারে, সেই ব্যক্তি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে তার স্ত্রীর পূর্ণ সমর্থন পায়। চাণক্যের মতে, স্বামী-স্ত্রী হল জীবনরূপ রথের দুই চাকা। স্ত্রী যদি সে হয় যে তার স্বামীকে বুঝে, প্রতিকূল সময়ে ছায়ার মতো তার পাশে থাকে, সঠিক পথনির্দেশ ও উৎসাহ দেয়, তাহলে এমন স্ত্রীকে যোগ্য বলা হয়। যার যোগ্য স্ত্রী আছে তার জন্য পৃথিবীতে স্বর্গ আছে। একজন দক্ষ ও বুদ্ধিমান স্ত্রী তার স্বামীর সাফল্যে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চাণক্যের মতে, সঙ্কটের সময়েই স্ত্রীর পরিচয় জানা যায়।

আরও পড়ুন- মিথুন রাশির বিবাহ বিচ্ছেদের আশঙ্কা, মে মাসে কেমন কাটবে আপনার লাভ লাইফ

আরও পড়ুন- এই ৫ রাশির 'গোল্ডেন ডে' শুরু হবে ৫ দিন পর, চাকরি-বেতনে আসবে বড় পরিবর্তন

আরও পড়ুন-মোহিনী একাদশীতে ব্রত পালন রাজযোগের মতোই ফল দেয়, জানুন ব্রতের মুহুর্ত ও গুরুত্ব

অর্থের বিষয়ে সন্তুষ্ট থাকতে -

চাণক্য নীতি অনুসারে, যে ব্যক্তির সন্তুষ্টি থাকে, তাকে কম দুঃখ ঘিরে থাকে। কষ্টের সবচেয়ে বড় কারণ হল লোভ। যে ব্যক্তি লোভ থেকে দূরে থাকে এবং সম্পদে সন্তুষ্ট থাকে, তার জন্য এই পৃথিবীতে স্বর্গ রয়েছে। অর্থের লোভে মানুষ তাদের সুখ-শান্তি বিসর্জন দেয়। যার কারণে জীবনে দেখা দেয় জটিলতা ও ঝামেলা। এসব বিষয় ব্যক্তির মন ও মননেও প্রভাব ফেলে যা পরবর্তীতে তার যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।