সংক্ষিপ্ত

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সোনা শুধুই অলঙ্কারই নয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা অনেকেরই অনেক ফাঁড়া কাটিয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের কথায় সোনা রোগ সারিয়ে দিতেও পারে। তাই তো সোনা- অমন মূল্যবান ধাতু হিসেবে গণ্য হন।

সোনা- একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাতু। আবার একটি একটি অলঙ্কারও। এমন কোনও মহিলা নেই যিনি সোনা পরতে ভালোবাসেন না। কিন্তু আপনি জানেন কী জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সোনা শুধুই অলঙ্কারই নয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা অনেকেরই অনেক ফাঁড়া কাটিয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের কথায় সোনা রোগ সারিয়ে দিতেও পারে। তাই তো সোনা- অমন মূল্যবান ধাতু হিসেবে গণ্য হন। 

বিশেষজ্ঞদের কথায় সোনার পরার ৮টি উপকারিতা হলঃ 

১. ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই সোনা পরার নিয়ম রয়েছে। মহিলারা সোনা পরেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কথায় পুরুষ মহিলা নির্বিশেষ যদি সোনা পরেন তাহলে তাঁরা ঐশ্বরিক শান্তির অধিকারি হতে পারেন। 
২. সোনা ধারণ করলে মানুষের শরীরে অশুভ শক্তির প্রবেশ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মানুষের দেহ পবিত্র হয়। পাশাপাশি অশুভশক্তির হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। 
৩. সোনার গয়না সামাজিক মর্যাদার প্রতীক। পাশাপাশি সোনার গয়না পরিবারে সুখ, শান্তি আর স্থায়িত্ব নিয়ে আসতে পারে। 
৪. চিন, পারস্য আর ভারতের প্রাচীন সমাজব্যবস্থায় সোনা পবিত্র শক্তি হিসেবে গণ্য করা হত। সোনার মধ্যে প্রতিরক্ষামূলক বৈশিষ্ঠ্য রয়েছে বলেও দাবি করে জ্যোতিষবিদরা। 
৫, সোনার সঙ্গে প্রত্যেকটির গ্রহের সম্পর্ক রয়েছে। তবে সোনার সঙ্গে মূলত যোগ রয়েছে বৃহস্পতির। তাই সোনা ধারণ বৃহস্পতিকে তুষ্ঠ করা যায়। 
৬. মহিলাদের বাম হাতে আর পুরুষদের ডান হাতে সোনার আংটি পরা জরুরি। তাহলে পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
৭. জ্যোতিষমতে সোনা পরলে মহিলারা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই নিরোগ হয়ে যান। তাই প্রত্যেক মহিলারই সাধ্যের মধ্যে সোনা পরা জরুরি। 
৮. পড়ুয়াদের ক্ষেত্র সোনা মনোসংযোগ বাড়ায়। 

বিশেষজ্ঞদের কথায় সোনা এমন একটা ধাতু যা যে কোনও ব্যক্তি ধারণ করতে পারেন। তাতে কোনও বাধা নেই। তাই সোনা সকলেই নিশ্চিন্তে পরতে পারেন। তবে সোনা পরার কতগুলি নিয়ম রয়েছে। নিয়মগুলি পালন করে যদি সোনা ধারণ করা হয় তাহলেই সুফল পাওয়া যাবে। 

সোনা পরার আগে সর্বদাই শোধন করে নেওয়া জরুরি। যদি তা নাও হত তাহলে  অবশ্যই আপনার বাড়ির দেবতার পায়ে ঠেকিয়ে তারপরই সোনা ধারণ করুন। পারলে সোনা পরার আগে দুধ আর গঙ্গাজলে শোধন করে নিতে হবে। সোনাকে শুভধাতু হিসেবে দেখা হয়। সেই কারণেই সোনা বাড়িতে আনা শুভ বলে অনেকেই মনে করেন। তার জন্য সোনা শুভদিনে বাড়়িতে আনাই ভালো। অনেকেই ধরতেরাস, পুজো, লক্ষ্ণীপুজো- এই দিনগুলি বেছে নেন সোনা কেনার জন্য।