সংক্ষিপ্ত
ভাদ্র মাস চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই মাসে দান, জপ, তপস্যার বিশেষ গুরুত্ব বলে মনে করা হয়েছে। এই মাসে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে তুলসি ডাল-সহ নিবেদন করা হয়। তাদের প্রিয় জিনিস এই দিনে নিবেদন করা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
হিন্দু ক্যালেন্ডারের পঞ্চম মাসকে ভাদ্র মাস বলা হয়। এই মাসটি ভগবান কৃষ্ণ এবং গণেশের পূজার জন্য উত্সর্গীকৃত। উভয়ের জন্ম এই মাসে, তাই এই মাসে তাদের উভয়ের ব্রতের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ভাদ্র মাস চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই মাসে দান, জপ, তপস্যার বিশেষ গুরুত্ব বলে মনে করা হয়েছে। এই মাসে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে তুলসি ডাল-সহ নিবেদন করা হয়। তাদের প্রিয় জিনিস এই দিনে নিবেদন করা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণের কাছে ময়ূরের পালকও অত্যন্ত প্রিয়। এমন পরিস্থিতিতে ময়ূর পালক সংক্রান্ত কিছু ব্যবস্থা নিলে জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। ধন-সম্পদ লাভ হয়। জীবনে শান্তি আছে। আসুন জেনে নিই ভাদ্র মাসে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে।
ভাদ্র মাসে ময়ূরের পালকের প্রতিকার-
১) গ্রহের ত্রুটি দূর করে
শ্রী কৃষ্ণের প্রিয় ময়ূরের পালক বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহৃত হয়। গ্রহের দোষ দূর করতে ময়ূরের পালকের এই প্রতিকার খুবই উপকারী। একটি ময়ূর পালক নিন এবং ২১ বার গ্রহমন্ত্র জপ করে তার উপর জল ছিটিয়ে দিন। এবং তার পরে এটি বাড়িতে রাখুন। এটি করলে গ্রহের অবস্থান মজবুত হয়।
২) কু-নজর এড়ানোর জন্য-
শিশুদের অশুভ দৃষ্টি থেকে রক্ষা করার জন্য জ্যোতিষশাস্ত্রে ময়ূরের পালকের কিছু প্রতিকার দেওয়া হয়েছে। ময়ূরের পালক ভরা একটি রূপার তাবিজ পরুন। এর মাধ্যমে বাচ্চাদের কু নজর থেকে বাঁচানো যায়।
৩) নেতিবাচক শক্তি দূর করতে
বাড়ির নেতিবাচকতা দূর করতে জ্যোতিষশাস্ত্রে বাড়ির মূল প্রবেশপথে ময়ূরের পালক লাগান। এতে করে ঘরে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে না। এর জন্য তিনটি ময়ূরের পালক নিয়ে 'ওম দ্বারপালায় নমঃ জাগরে স্থপায় স্বাহা' মন্ত্রটি লিখে গণেশের নীচে রাখুন।
৪) একগুঁয়ে বাচ্চাদের জন্য
শিশু যদি জেদি হয় বা বিরক্ত হয় বা কান্নাকাটি করে, তাহলে সিলিং ফ্যানে ময়ূরের পালক রাখলে উপকার পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন- ঘুমিয়ে থাকা ভাগ্যও জেগে ওঠে এই রত্নের সাহায্যে, ধারণের সঙ্গে সঙ্গে মেলে আশ্চর্যজনক ফলাফল
আরও পড়ুন- এই রাশির জাতকদের অবশ্যই মুক্তো ধারণ করা উচিৎ, মা লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকবে
আরও পড়ুন- বাড়ির এই দিকে অপরাজিতা গাছ থাকলে মেলে নানান উপকার, কেটে যায় শনির দোষ
৫) শত্রুকে এড়াতে
আপনি যদি শত্রুদের দ্বারা বিরক্ত হন বা তাদের থেকে মুক্তি পেতে চান তবে মঙ্গল ও শনিবার শত্রুর নাম নিয়ে ময়ূরের পালকের উপরে হনুমানদেবের মাথায় সিঁদুর লাগান। এবং পরের দিন ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এটি প্রবাহিত জলে ফেলে দিন।
৬) আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে
আপনি যদি আর্থিকভাবে অস্বস্তিতে থাকেন তবে রাধা-কৃষ্ণের মন্দিরে যান এবং মুকুটে ময়ূরের পালক রাখুন এবং ৪০ দিন পর তা সিন্দুক বা আলমারিতে রাখুন। অচিরেই এর সুফল পাবেন।