সংক্ষিপ্ত

ভাদ্রমাসের পূর্ণিমা তিথি থেকে শুরু করে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত অর্থাৎ মহালয়া পর্যন্ত ১৫ দিন হল পিতৃপক্ষ। সেই অনুযায়ী তলতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে পিতৃপক্ষ। চলবে আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত।

 

প্রাচীন কাল থেকেই হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী পিতৃপক্ষের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী পিতৃপক্ষের ১৫ দিন পূর্বপুরুষরা পিতৃলোক থেকে মর্তে নেমে আসেন। এই সময়ই ভগীরথ তাঁর পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে জল নিবেদন করেছিলেন। তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করে। পরিবর্তে তাঁদের কাছ থেকে সুখ আর সমৃদ্ধির আশীর্বাদ পেয়েছিলেন। ভাদ্রমাসের পূর্ণিমা তিথি থেকে শুরু করে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত অর্থাৎ মহালয়া পর্যন্ত ১৫ দিন হল পিতৃপক্ষ। সেই অনুযায়ী তলতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে পিতৃপক্ষ। চলবে আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত।

হিন্দুশাস্ত্র মতে এই সময় যে সন্তান ভূমিষ্ট হয় তারা কতগুলি বিশেষ গুণের অধিকারী হয়। এই সময়ের জাতকদের পরিবারের জন্য অত্যান্ত শুভ বলেও মনে করা হয়। পিতৃপক্ষে জন্মগ্রহণকারী জাতকরা অত্যান্ত ভাগ্যবান হয়।

পিতৃপক্ষে জন্মানো জাতকদের বৈশিষ্ট্য

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী পিতৃপক্ষে জন্মানো জাতকরা অত্যান্ত শুভ হয়।

এই সময়ে যারা জন্মায় তারা অত্যান্ত সৃজনশীল হয়।

এই সময় যারা জন্মগ্রহণ করে তারা পূর্বপুরুষের আশীর্বাদ পায়ে থাকে।

এই সময় যারা জন্মগ্রহণ করে তারা পরিবারের সমৃদ্ধি আর সম্নানের কারণ হয় দাঁড়ায়।

এই সময়ের জাতকরা পরিবারের জন্য শুভ হয়। এরাদের জন্মের পর থেকেই পরিবারের সদস্যদের সৌভাগ্যের উদয় হয়।

প্রাচীন বিশ্বাস

পিতৃপক্ষে জন্মানো জাতকদের নিয়ে অনেক প্রাচীন বিশ্বাস বা প্রচলিত ধারনা রয়েছে হিন্দুধর্মে। অনেকেই বিশ্বাস করেন এই সময় যে জাতক জন্মগ্রহণ করে মৃত্যুর আগের নিজের পরিবারে। জাতকের সঙ্গে পরিবারের কোনও সদস্যের মুখের মিল থাকতে পারে। এরা বয়সের তুলনায় কিছুটা বেশি বুদ্ধিমান হয়। পরিবারের সম্মানের দিকটে এই জাতকরা অত্যান্ত গুরুত্ব দেয়।

জাতকের ভবিষ্যৎ

হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী এই সময়ের জাতকরা ভগবান বিষ্ণু ও শিবের আশীর্বাদ পেয়ে থাকে। এরা অঢেল সম্পত্তির অধিকারী হয়। জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে এরা খুবই একরোখা স্বভাবের হয়। তবে এদের চন্দ্র খুব দুর্বল হয়। তাই জীবন সুখের হলেও অবসাদগ্রস্ত হয়। তবে নিজেরাই নিজেদের অবসাদ কাটানোর ক্ষমতা রাখে।