সংক্ষিপ্ত

অধ্যাত্মিকতা যোশীমঠের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতা দীর্ঘ যোগ রয়েছে। বিষ্ণু আর শিবের যোগ রয়েছে। নরসিংহ মঠে প্রচুর মানুষ যান। এটা বিশ্বাস করা হয় যে আদিশঙ্কারাচার্য এখানে একটি তুঁতগাছের নিচে জ্ঞানলাভ করেছিলেন।

যোশীমঠ মন্দির অর্থাৎ নরসিংহ মন্দির উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার জোশীমঠ। জোশীমঠ শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। তার চারপাশে তুষারাবৃত্ত হিমালয়। নয়নাভিরাম দৃষ্যপটে যোশীমঠের। এই শহরটি জ্যোতিষপীঠ। নরসিংহ মন্দিরেরজন্য বিখ্যাত। হিন্দুদের বিখ্যাত মন্দির। মনে করা হয় একদিন এই শহরে বড় ভূমিধস হবে তাতে জোশীমঠ থেকে বদ্রীনাথ যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।

নরসিংহ যোশীমঠ উত্তরাখণ্ডে

শাস্ত্রমতে উত্তরাখণ্ডে হল ভগবান শঙ্কর বা শিবের ভূমি। সেখানেই অবস্থিত যোশীমঠে। এখানে ভগবান বিষ্ণুর একটি স্থান রয়েছে। যা দর্শণ করেই পূর্ণলাভ করা যায়।নরসিংহ মন্দির স্থান নিয়ে নানা মত রয়েছে। কিছু পণ্ডিত মনে করেন এটি পাণ্ডবদের সর্বে রোহিনী যাত্রার সময় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আবারও কিছু পণ্ডিত বলেছেন এখানে ভগবান বিষ্ণুর শালিগ্রাম আদি শঙ্করাচার্যের দ্বারা প্রতিষ্ঠাতা করা হয়েছিল। আর রাজতরঙ্গিনীতে রয়েছে, ললিতাদিত্য মুক্তপিদার পক্ষ থেকে এখানে নরসিংহ মন্দির প্রতিষ্ঠার কথা রয়েছে। অন্যদিকে কেউ কেউ একে স্বয়ম্ভূ বলেন।

শঙ্করাচার্য যোশীমঠে জ্ঞানলাভ করেছিলেন

অধ্যাত্মিকতা যোশীমঠের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতা দীর্ঘ যোগ রয়েছে। বিষ্ণু আর শিবের যোগ রয়েছে। নরসিংহ মঠে প্রচুর মানুষ যান।

এটা বিশ্বাস করা হয় যে আদিশঙ্কারাচার্য এখানে একটি তুঁতগাছের নিচে জ্ঞানলাভ করেছিলেন। এখানে রচিত হয়েছিল শঙ্কর ভাষা। এখানে আদিশঙ্করাচার্য প্রথম মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, অথর্ববেদের পাঠ এখানে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। জোশীমঠ মন্দির ছাড়াও আরও অনেক মন্দির রয়েছে, যেগুলি হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের বিশ্বাসের প্রধান কেন্দ্র।

সাম্প্রতিক ভূমিধসের কারণে আদি শঙ্করাচার্যের প্রাচীন জ্যোতির্মথ নরসিংহ মন্দিরের দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, জ্যোতির্মঠ হল জোশী মঠের ঘাঁটি। এছাড়াও রয়েছে শত বছরের পুরনো একটি কল্পবৃক্ষ। বদ্রীনাথ ধাম যাওয়ার পথেও প্রথম রাস্তা যোশীমঠে।

ভূমিধস নিয়ে স্থানীয়দের বিশ্বাস

মনে করা হয় নরসিংহ মন্দির একসময় সাধক বদ্রীনাথের বাড়ি ছিল। আরও বলা হয় যে ভগবান নরসিংহের মূর্তির বাম হাতে চিড় ধরেছে। একটি মূর্তিটি ভেঙে যাবে বলেও প্রাচীন বিশ্বাস রয়েছে। জোশীমঠের বিষ্ণ প্রয়াগের পাটমিলায় ভেঙে পড়তে পারে বলেও বিশ্বাস। বদ্রীনাথের মন্দিরে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তারপর জোশীমঠেই বদ্রীমন্দির প্রতিষ্ঠা হবে। এমনও একটি বিশ্বাস আছে যে যোশীমঠের নরসিংহ মন্দিরে পূজা না করলে বদ্রীনাথ যাত্রা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

জোশীমঠের অবস্থান

যোশীমঠ শহরটি কামাপ্রয়াগ অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে ধৌলিগঙ্গা এবং অলকানন্দা মিলিত হয়েছে। এছাড়াও শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে নন্দা দেবী জাতীয় উদ্যান রয়েছে। এই পার্কটি ১৯৮৮ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষিত হয়েছে।