সংক্ষিপ্ত
সারা বাংলা জুড়ে তাঁর পূজা শুরু হয়েছিল ‘বাবা লোকনাথ’ নামে। তাঁর এমন ১০টি বাণী ভীষণ উল্লেখযোগ্য, যেগুলি এক লহমায় বদলে দিতে পারে যেকোনও মানুষের জীবন।
লোকনাথ ঘোষাল, বাংলার উত্তর ২৪ পরগণা জেলার চাকলা গ্রাম থেকে সমগ্র ভারত জুড়ে সাধনা করার পর তিনি হয়ে উঠেছিলেন সিদ্ধপুরুষ লোকনাথ ব্রহ্মচারী। ভক্তদের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন অতি প্রিয় এবং শ্রদ্ধার মানুষ। ধীরে ধীরে সারা বাংলা জুড়ে তাঁর পূজা শুরু হয়েছিল ‘বাবা লোকনাথ’ নামে। সমস্ত মানুষের সমস্তরকম বিপদে-আপদে তিনি সাহায্য করেন বলে বিশ্বাস করেন তাঁর ভক্তরা। সেই বাবা লোকনাথের এমন ১০টি বাণী ভীষণ উল্লেখযোগ্য, যেগুলি এক লহমায় বদলে দিতে পারে যেকোনও মানুষের জীবন।
-
১) “ধার্মিক হতে চাইলে প্রতিদিন রাতে শোবার সময় সারাদিন কাজের হিসাব নিকাশ করবি, অর্থাৎ ভাল কাজ কি করেছিস এবং মন্দ কাজ কি করেছিস, সেটা ভেবে মন্দ কাজ যাতে আর না করতে হয় তার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবি।”
২) "অন্ধকার ঘরে থাকিলে, তোকে যদি কেহ জিগ্যেস করে তুই কে? তুই বলিস “আমি”। আমাকে যদি কেহ জিগ্যেস করে, আমিও বলি "আমি"। নামে নামে এত মিত্রতা হয়, আর আমিতে আমিতে কী কোনও মিত্রতা হইতে পারে না?"
৩) "সত্যের মতো পবিত্র আর কিছু নেই। সত্যই স্বর্গ গমনের একমাত্র সোপানস্বরূপ, সন্দেহ নেই।"
৪) "যে ব্যক্তি সকলের সুহৃদ। আর যিনি কায়মনোবাক্যে সকলের কল্যাণ সাধন করেন তিনি যথার্থ জ্ঞানী।"
৫) “অর্থ উপার্জন করা, তা রক্ষা করা, আর তা ব্যয় করার সময় দুঃখ ভোগ করতে হয়। অর্থ সকল অবস্থাতেই মানুষকে কষ্ট দেয়। তাই অর্থ ব্যয় হলে ,বা চুরি হলে তার জন্য চিন্তা করে কোনও লাভ নেই।”
৬) “ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, যে সন্তান মায়ের আদেশ পালন করে, ভগবান তার মঙ্গল করেন।”
৭) “গর্জন করবি কিন্তু আহাম্মক হবি না, ক্রোধ করবি কিন্তু ক্রোধান্ধ হবি না।”
৮) "দীন দরিদ্র অসহায় মানুষের হাতে যখন যা দিবি, তা আমিই পাব, আমি গ্রহণ করবো। দারিদ্রতায় ভরা সমাজের দুঃখ দূর করার চেষ্টা করবি।"
৯) “বাক্যবাণ, বন্ধুবিচ্ছেদবাণ ও বিত্তবিচ্ছেদবাণ; এই তিনটি বাণকে সহ্য করিতে পারিলে মৃত্যুকেও হটাইয়া দেওয়া যায়”
১০) "যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞ, ধার্মিক, সত্যাচারী, উদারচিত্ত, ভক্তিপরায়ণ, জিতেন্দ্রিয়, মর্যাদা রক্ষা করতে জানে, আর কখনো আপন সন্তানকে পরিত্যাগ করে না, এমন ব্যক্তির সঙ্গেই বন্ধুত্ব করবি।"