সংক্ষিপ্ত

এ বছর মহাশিবরাত্রি 4টি শুভ সমাপতনে পূজা হবে। শিব ভক্তদের মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য এইভাবে শিবের পূজা করা উচিত।

মহাশিবরাত্রি ভগবান শিব এবং মা পার্বতীর বিবাহ উৎসব হিসাবে পালিত হয়। এবার মহাশিবরাত্রিতে ঘটতে চলেছে ৪টি শুভ কাকতালীয় ঘটনা।

মহাশিবরাত্রি, দেবাদিদেব মহাদেব এবং মা পার্বতীর বিবাহের স্মরণে পালিত উৎসব, ৮ মার্চ সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে অনুষ্ঠিত হবে। কথিত আছে এই যোগে মহাদেবের আরাধনা করলে ভক্তদের সকল মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়।

মহাশিবরাত্রির দিন শ্রাবণ নক্ষত্র ও শিব যোগে চাঁদ মকর রাশিতে থাকবে। এছাড়াও সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ এবং সিদ্ধ যোগও গঠিত হবে।

মহাশিবরাত্রির এই ৪টি শুভ কাকতালীয় পূজায় শিবভক্তদের মনস্কামনা পূরণ হবে।



ফাল্গুন কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথি ৮ মার্চ শুক্রবার রাত ০৯টা বেজে ৫৭ মিনিটে শুরু হবে এবং ৯ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা বেজে ১৭ মিনিটে শেষ হবে।

মহাশিবরাত্রি নিশিথ পূজার মুহুর্ত গভীর রাত ১২ টা বেজে ৭ মিনিট থেকে ১২ টা বেজে ৫৬ মিনিট পর্যন্ত চলবে।

মহাশিবরাত্রি পূজার সময়: ব্রহ্ম মুহুর্ত শুরু হবে ৫ টা বেজে ১ মিনিট থেকে।

মহাশিবরাত্রি পূজার আচার

ভগবান শিবের উপাসনা করার আগে, আপনার সমস্ত দৈনন্দিন কাজগুলি শেষ করা উচিত, স্নান করা উচিত এবং পরিষ্কার কাপড় পরিধান করা উচিত।

প্রথমে গণেশকে প্রণাম করুন।

এরপর পূজার স্থানে শিব ও মাতা পার্বতীর সঙ্গে নন্দীর ছবি বা মূর্তি স্থাপন করতে হবে। 

এদিন মাটি দ্বারা নির্মিত শিবলিঙ্গে জল ঢালতে হয়। 

বাড়িতে শিবলিঙ্গ থাকলে মাটির পাত্রে বা তামার পাত্রে জল ভরে শিবলিঙ্গের জেলাভিষেক করতে হবে।

পঞ্চামৃত দিয়ে শিবলিঙ্গকে স্নান করান।

শিবলিঙ্গে বেল পাতা, ধুতুরা ফুল, চন্দন, চাল ইত্যাদি অর্পণ করতে হবে। এরপর পূর্ণ ভক্তি সহকারে শিবপুরাণ পাঠ করতে হবে এবং রাত জাগরণ করতে

হবে।

মহাশিবরাত্রির দিন শিবপুরাণ পাঠ করলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ভগবান শিবের আরতি করার পর ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে ভুলবেন না।


শিবরাত্রির মন্ত্র:

ওম নমঃ শিবায়

ওম অম নমঃ শিবায় |

ওম হ্রীম নমঃ শিবায় | 

আইম হ্রীম শ্রীম ওম নমঃ শিবায়' শ্রীম হ্রীম আম |

ওম ত্র্যম্বকম যজামহে, সুগন্ধিপুষ্টিবর্ধনম্ ।

'উর্ভারুকমিভ বন্দনান, মৃত্যুর্মুখিয়া মমৃতত ||


আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।