সংক্ষিপ্ত
রামায়ণে বর্ণিত কাহিনীর সঙ্গে মিলে গেছে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মকথা। যার সঙ্গে জুড়ে আছেন ৪ জন নারী।
মকর রাশি থেকে শনিতে প্রবেশ করেন সূর্যদেব, সেই দিনটিই পালিত হয় মকর সংক্রান্তি হিসেবে। প্রতি বছরের মত এই বছরও এই দিনটি পালিত হচ্ছে ১৫ জানুয়ারি তারিখে। এই বিশেষ দিনটির সঙ্গে রয়েছে ভারতের পৌরাণিক যোগ। রামায়ণে বর্ণিত কাহিনীর সঙ্গে মিলে গেছে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মকথা। যার সঙ্গে জুড়ে আছেন ৪ জন নারী।
-
রামায়ণে বর্ণিত কাহিনী অনুসারে, রাজা দশরথের ছিলেন ৩ জন রানি। কৌশল্যা, কৈকেয়ী এবং সুমিত্রা। সবচেয়ে বড় রানি কৌশল্যার গর্ভে জন্ম হয়েছিল ভগবান শ্রী রামের। কৈকেয়ী দিয়েছিলেন ভরতের জন্ম। তারপর ভরতকে রাজা হিসেবে সিংহাসনে বসানোর জন্য তিনি রামকে বনবাসে পাঠান, যাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন রানি সুমিত্রার যমজ সন্তানের একজন – লক্ষ্মণ।
-
ত্রেতাযুগে রাম যখন ১৪ বছরের বনবাস পর্ব কাটিয়ে আবার অযোধ্যায় ফিরে আসেন, তখন রানি কৈকেয়ী তাঁর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন যে, তিনি যেন পরবর্তী জন্মে রাম-কে নিজের পুত্র হিসেবে জন্ম দিতে পারেন। রাম সেই সময়ে সকলের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করছিলেন, ফলে, তিনি কৈকেয়ীকেও আশীর্বাদ করেন যে, তিনি সত্যিই রাম-কে নিজের পুত্র হিসেবে জন্ম দিতে পারবেন। এই আশীর্বাদের কথা শুনে রামের মা, বড়রানি কৌশল্যার মনে আঘাত লাগে।
-
শ্রী রাম তখন নিজের মা কৌশল্যাকে আশ্বস্ত করে বলেন যে, কৈকেয়ী তাঁর জন্ম দিলেও মা হিসেবে কৌশল্যাই পরবর্তী জন্মে রামের প্রতিপালন করতে পারবেন। এরপরেই দ্বাপরযুগে জন্মগ্রহণ করেন শ্রী কৃষ্ণ। তাঁর জন্ম হয় দেবকীর গর্ভে। এই দেবকীই ছিলেন রানি কৈকেয়ী। তিনি কৃষ্ণকে জন্ম দিতে পারলেও প্রতিপালন করতে পারেননি। মকর সংক্রান্তির পুণ্য লগ্নে সূর্যদেবকে স্মরণ করে শ্রীকৃষ্ণকে পুত্ররূপে পাওয়ার জন্য উপবাস করেছিলেন রাজা নন্দের স্ত্রী যশোদা। তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছিল। কৃষ্ণকে যশোদা-নন্দন বলা হয়, কারণ, মা হিসেবে তাঁর প্রতিপালন করেছিলেন যশোদাই, যিনি পূর্বজন্মে ছিলেন শ্রী রামের মা রানি কৌশল্যা।