সংক্ষিপ্ত
মকর সংক্রান্তির পবিত্র দিনে সূর্যের প্রথম আলো পড়ে মধ্য প্রদেশের খারগোনের একটি সূর্য মন্দিরে। মন্দিরে। আর এই মন্দিরটি হিন্দুশাস্ত্রে অলৌকিক বলে মনে করা হয়।
মকর সংক্রান্তির পবিত্র দিনে সূর্যের প্রথম আলো পড়ে মধ্য প্রদেশের খারগোনের একটি সূর্য মন্দিরে। মন্দিরে। আর এই মন্দিরটি হিন্দুশাস্ত্রে অলৌকিক বলে মনে করা হয়। আর সেই কারণে এই দিন ভক্তদের প্রবল ভিড় হয়। আসুন আমরা আজ জেনেনি ভারতের সূর্য মন্দিরের মাহাত্মের কথা।
খারগোনে সূর্য মন্দির
২২৫ বছরের পুরনো মধ্যপ্রদেশের খারগোনের সূর্য মন্দির। প্রাচীন বিশ্বাস এই মন্দিরটি জ্যোতিষ শাস্ত্রের দৃষ্টিকোন থেকে তৈরি করা হয়েছে। এই মন্দিরে সূর্যদেবের মূর্তি ছাড়াও একটি নবগ্রহের মূর্তি স্থাপিত রয়েছে। ভক্তরা জানান, সূর্যের প্রথম রশ্মি পড়ে এই মন্দিরের গম্বুজে। সূর্য দেবতার ওপরও পড়ে প্রথম রশ্মি। প্রাচীন বিশ্বাস, এই মন্দিরের মধ্যে থাকা সূর্যদেব ও নবগ্রহের দেবতারা অশুভ অবস্থা থেকে মুক্তি দেয়।
কোনার্কের সূর্য মন্দির
দেশের সবথেকে বিখ্যাত সূর্যমন্দির কোনার্ক। এটি রয়েছে ওড়িশায়। রথের মত দেখতে প্রাচীন এই মন্দির। মধ্যযুগীয় ভারতের স্থাপত্যের অনন্য নমুনা এই মন্দির। ১৩ শকতে রাজা নরসিংহদেব এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। এই মন্দিরের সূর্য দেবতার মূর্তি পুরীর জনন্নাথ মন্দিরে রয়েছে। এই মন্দিরে কোনও দিন পুজো হয়নি। কিন্তু এই মন্দিরের দিনভর সূর্যের আলো পড়ে।
আউঙ্গারির সূর্য মন্দির
নালন্দার সূর্য মন্দির আউঙ্গারি ও বারগাঁওয়ের সূর্য মন্দির সারা দেশে বিখ্যাত। প্রাচীন বিশ্বাস এখানের সূর্য মন্দিরে স্নান করলে কুষ্ঠ রোগ সেরে যায়। এখনও মরকসংক্রান্তির দিনে এই মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে।
পিথোরাগড়ের সূর্য মন্দির
উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ের দিদিহাট তহসিলের চৌবাটি শহরের একটি সূর্য মন্দির বিখ্যাত ও জাগ্রত বলে মনে করা হয়। এখানে ১০টি মন্দির রয়েছে। যারমধ্যে প্রথম হল সূর্য দেবতার মন্দির। এখানে সাতটি ঘোড়ার ওপর আসীন সূর্যদেবতা। মন্দিরটি ১০ শতাব্দীর বলে মনে করা হয়। মন্দিরটি তৈরি হয়েছে গ্রানাইট পাথর দিয়ে। দেশের প্রাচীনতম সূর্যমন্দিরগুলির একটি।
মোধেরার সূর্য মন্দির
আমেদাবাদ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে মোধেরার বিখ্যাত সূর্যমন্দির রয়েছে। এখানে একটি শিলালিপিও রয়েছে। এই মন্দির সম্রাট ভীমদের সোলাঙ্কি প্রথম তৈরি করেছিলেন। তারা সূর্যবংশীয়। পরিবারের সূর্য দেবতার পুজোর জন্য তিনি এই মন্দির তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে এটি সাধারণের মানুষের অন্যতম তীর্থকেন্দ্র।