সংক্ষিপ্ত
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে শনিবার অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্বও বলা হয়েছে। মাঘ মাসের অমাবস্যা মৌনী অমাবস্যা নামে পরিচিত এবং এবারের অমাবস্যা শনিবার পড়ছে। এই বছর মৌনী অমাবস্যা পালিত হবে ২১ জানুয়ারি শনিবার।
হিন্দু ধর্মে, অমাবস্যা তিথি প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের শেষ দিনে হয়। অমাবস্যা তিথি পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে পিতৃপুরুষদের জন্য দান, পিণ্ডদান ইত্যাদির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। সেই সঙ্গে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে শনিবার অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্বও বলা হয়েছে। মাঘ মাসের অমাবস্যা মৌনী অমাবস্যা নামে পরিচিত এবং এবারের অমাবস্যা শনিবার পড়ছে। এই বছর মৌনী অমাবস্যা পালিত হবে ২১ জানুয়ারি শনিবার।
মাঘ মাসের শনিবারের যে অমাবস্যা হয় তা শনিশ্চরি অমাবস্যা নামে পরিচিত। এবার এক আশ্চর্য কাকতালীয় যোগে পালিত হবে শনিশ্চরি অমাবস্যা। আসলে, এবার শনি অমাবস্যায়, শনি তার মূল ত্রিকোণ রাশি কুম্ভ রাশিতে থাকবে। ৩০ বছর পর কুম্ভে পাড়ি দিতে চলেছেন শনি। যেখানে এবার খপ্পর যোগ, চতুর্গ্রহী যোগ, ষড়ষ্টক যোগ ও সমাসপ্তক যোগ গঠিত হচ্ছে।
মৌনী অমাবস্যার গুরুত্ব
জ্যোতিষীরা বলেন, বছরে ১২টি অমাবস্যার মধ্যে মৌনী অমাবস্যার নিজস্ব বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। আমরা আপনাকে বলি যে সমস্ত অমাবস্যার মধ্যে মৌনী অমাবস্যা হল একমাত্র অমাবস্যা, যেখানে স্নান এবং দান ছাড়াও নীরব উপবাস পালনের গুরুত্বও বলা হয়েছে। এই দিনে নীরবে জপ, তপস্যা, ধ্যান, উপাসনা করলে মানুষ দুঃখ ও পাপ থেকে মুক্তি লাভ করে।
মৌনী অমাবস্যা তিথি এবং শুভ সময় ২০২৩
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, মৌনী অমাবস্যা ২১ জানুয়ারি শনিবার সকাল ৬ টা ১৭ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ২২ জানুয়ারি সকাল ২ টো ২২ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। উদয় তিথি অনুসারে, ২১ জানুয়ারি শনিবার মৌনী অমাবস্যা পালিত হবে। এই দিনে শনি, সূর্য ও শুক্রের মিলনে খপ্পর যোগ তৈরি হচ্ছে।
মৌনী অমাবস্যায় যোগ ও নক্ষত্র-
পূর্বা আষাঢ় নক্ষত্র, উত্তরাষদা নক্ষত্র, সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ, হর্ষন যোগ, ব্রজ যোগ, চতুর পদ করণ যোগ ইত্যাদি মৌনী শনিচরি অমাবস্যায় গঠিত হচ্ছে। একই সময়ে, এই সময়ে চন্দ্র শনির রাশিচক্রে মকর রাশিতে প্রবেশ করবে। এমন পরিস্থিতিতে শনি ভক্তদের উপর আশীর্বাদ বর্ষিত হবে। আর কিছু ব্যবস্থা করলে শনি দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মৌনী অমাবস্যায় প্রতিকার-
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে মৌনী অমাবস্যার দিনে পবিত্র নদীতে স্নানের বিশেষ গুরুত্ব বলা হয়েছে। এই দিনে স্নান করার সময় গঙ্গার জল মিশিয়েও স্নান করা যায়। অন্যদিকে, এই দিনে গরীব-দুঃখী মানুষকে পশমী গরম কাপড় ও ফলমূল দান করলে পূর্বপুরুষদের আত্মা শান্তি পায় এবং তারা সুখী হয়ে বংশধরদের আশীর্বাদ করেন। কালসর্প দোষ নিবারণের জন্য এই দিনে অবশ্যই শান্তিপূজা করতে হবে। এই দিন শনি মন্দিরে গিয়ে শনি মহারাজকে সরিষার তেল দিয়ে অভিষেক করুন। এর সঙ্গে দশরথ রচিত শনি স্তোত্র পাঠ করুন।