সংক্ষিপ্ত
ব্রহ্মাদেব মুনিকে উপদেশ দিয়েছিলেন উপাসনা ও প্রতিকার দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে। এই সময় তিনি শনির দুর্ভোগ শান্ত করার ব্যবস্থার কথাও বলেছিলেন। আসুন জেনে নিই ভগবান ব্রহ্মার এই সব ব্যবস্থা সম্পর্কে।
শনির অশুভ দৃষ্টিতে শুধু মানুষই নয়, দেবতারাও কাঁপে। শনির দুর্দশা এড়াতে ও কমানোর জন্য জ্যোতিষশাস্ত্রে অনেক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ব্যবস্থা ভগবান ব্রহ্মা দেব মুনি পিপ্পালাদকে বলেছিলেন। ভবিষ্যপুরাণে এই কাহিনীর উল্লেখ আছে। যখন মুনি পিপ্পালাদ বাল্য যন্ত্রণার মাঝখানে শনি গ্রহের উপস্থিতির কথা জানতে পারলেন, তখন তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে শনিকে আকাশ থেকে নামিয়ে দেন।
সেই সময় গ্রহদের ক্রোধ ও অসম্মান দিয়ে শান্ত করার পরিবর্তে ব্রহ্মাদেব মুনিকে উপদেশ দিয়েছিলেন উপাসনা ও প্রতিকার দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে। এই সময় তিনি শনির দুর্ভোগ শান্ত করার ব্যবস্থার কথাও বলেছিলেন। আসুন জেনে নিই ভগবান ব্রহ্মার এই সব ব্যবস্থা সম্পর্কে।
শনির কুনজর থেকে বাঁচতে এই কাজ করুন-
ভবিষ্য পুরাণে উল্লেখ আছে যে ব্রহ্মা মুনি পিপ্পলাদকে গ্রহের দুঃখ থেকে মুক্তি পেতে উপবাস, ভোগ, যজ্ঞ, নমস্কার ইত্যাদি পালনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। ব্রহ্মদেব বলেছিলেন যে এই পদ্ধতিগুলি দ্বারা গ্রহের ব্যথা প্রশমিত করা যায়। শনির যন্ত্রণা দূর করতে ব্রাহ্মণদের শনিবার নিজের শরীরে তেল মাখিয়ে দান করার পরামর্শ দেন।
এছাড়াও একটি লোহার পাত্রে তেল ভরে শনির মূর্তি তৈরি করুন এবং নিয়মিত পুজো করুন। এই প্রতিকার এক বছর করতে হবে। এরপর কালো ফুল, কালো কাপড়, কালো তিল, মাস কলাইয়ের ডাল, চাল ইত্যাদি দিয়ে তাদের পূজা করুন। এর পর যে কোনও ব্রাহ্মণকে কালো গরু, কালো কম্বল, তিলের তেল ও দক্ষিণা ইত্যাদি দান করুন।
শনিবার এই মন্ত্র ও স্তব করুন
ভগবান ব্রহ্মা ভবিষ্য পুরাণে বলেছেন যে শনিবার শনি পূজা করুন। এই দিনে যজুর্বেদের মন্ত্র জপ করুন।
'শ্যাম নো দেবীরবিষ্টায় আপো ভবন্তু পিতায়। শম যোরভী স্ত্রবন্তু নাহি।'