সংক্ষিপ্ত
সারা বাংলা জুড়ে পালিত হচ্ছে উৎসব। ঘরে ঘরে চলছে লক্ষ্মী গণেশের পুজোর প্রস্তুতি। আজ থেকে শুরু হল বাংলার নতুন বছর। এবছর ১৪৩২ বঙ্গাব্দে পা দিলাম আমরা। প্রতি বছর এই দিন ঘরে ঘরে পুজিত হন লক্ষ্মী ও গণেশ। তেমনই আবার অনেকে ব্যবসার জায়গায় লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করেন। জানেন কি, বাংলা নববর্ষে কেন হয় লক্ষ্মী গণেশের পুজো? জেনে নিন এই দিনটির সঙ্গে জুড়ে থাকা ঐতিহাসিক কাহিনি।
লক্ষ্মী-গণেশের পুজোর পিছনে আছে হিন্দু পুরাণের গল্প। এই গল্পে গণেশ ও তাঁর ভাই কার্তিকের মধ্যে ত্রিভুবন পরিক্রমার প্রতিযোগিতার কথা হয়েছে। সেই কাহিনি অনুসারে, এই প্রতিযোগিতা শুরুর পরই কার্তিক তাঁর বাহন ময়ূরে চেপে ত্রিভূবন পরিক্রমায় পাড়ি দিয়েছিলেন। আর গণেশ কোথাও না গিয়ে শুরু তাঁর বাবা মাকে প্রদক্ষিণ করেছিলেন। কারণ জিজ্ঞাসা করায় গণেশ বলেছিলেম, তাঁর বাবা মা শিব পার্বতীই তাঁর কাছে ত্রিভূবন। তাই তাঁদের পরিক্রম করেই তিনি ত্রিভূবন পরিক্রম করেন। ছেলের এই বুদ্ধিতে খুশি হয়ে শিব ও পার্বতী গণেশকে আশীর্বাদ করেছিলেম। তখন থেকেই সব পুজোর আগে গণেশ পুজো হয়। সেই হিসেবে বর্ষবরণের দিনে গণেশ পুজো হয়ে থাকে।
এছাড়াও একাধিক কারণের কথা মনে করা হয়ে থাকে। গণেশ হল বিঘ্ননাশক। তিনি ব্যবসারও দেবতা। ব্যবসা ক্ষেত্রে বিঘ্ন নাশ করার জন্য তাঁর পুজো করা হয়। গণেশের সঙ্গে এই দিন পুজিত হন মা লক্ষ্মী। কাণ দেবী হলেন ধনদেবী। সারা বছর ব্যবসায় আর্থিক স্থিতি বজায় রাখতে ও সমৃদ্ধির জন্য দেবী লক্ষ্মীর কৃপা পাওয়া জরুরি। সেই কারণেই এই নতুন বছরের শুরু দিন লক্ষ্মী ও গণেশের পুজো করা হয়ে থাকে।
ব্যবসার জায়গায় প্রায় সকলেই পুজো করে থাকেন লক্ষ্মী ও গণেশের। এই দিন হাল খাতা খোলেন ব্যবসায়ীরা। এই দিয়ে শুরু হয় ব্যবসার। এই শুভ দিনে সর্বত্র পুজিত হন ধনদেবী লক্ষ্মী ও বিঘ্ননাশক গণেশ।