সংক্ষিপ্ত
- পাত্র পাত্রীর রাশিচক্রে অতি শুভসূচক মিল হওয়াকে রাজযোটক বলা হয়
- সম্পর্ক স্থাপনে কোনও বাধা আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করার জন্যই করা হয় যোটক বিচার
- কোনও সমস্যা থাকলে তা বিয়ের আগেই প্রতিকার করা হয়
- নক্ষত্রের সঙ্গে নক্ষত্রের মিলন পদ্ধতিও বিচার করা দরকার
সাধারণত পাত্র পাত্রীর রাশিচক্রে অতি শুভসূচক মিল হওয়াকে রাজযোটক বলা হয়। কিন্তু আপনারা রাজযোটক কী না তা বুঝবেন কী করে? জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে পাত্র পাত্রীর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে কোনও বাধা আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করার জন্যই করা হয় যোটক বিচার। এই যোটক বিচার করার সময় প্রধাণত তিনটি রাশিচক্র দেখার প্রয়োজন হয়। রাশির সঙ্গে রাশির মিলন। অষ্ট-কূট বিচারের মাধ্যমেও গুণাগুণ সংক্রান্ত বিষয়। আর রাশিচক্রে বিবাহের স্থান এবং পাত্র পাত্রীর আয়ু-স্থান সহ কোনও বিবাহ বিচ্ছেদ বা দুর্ঘটনার যোগ আছে কিনা।
প্রধাণত এই তিন বিষয়ে খতিয়ে দেখার পর কোনও সমস্যা থাকলে তা বিয়ের আগেই প্রতিকার করা হয়। এছাড়াও নক্ষত্রের সঙ্গে নক্ষত্রের মিলন পদ্ধতিও বিচার করা দরকার। এই পদ্ধতির নাম অষ্ট-কূট বিচার। সেই সঙ্গে ৩৬ গুণের মধ্যে উভয়ের কত গুণ মিলছে তাও দেখা হয়। ৩৬ গুণের মধ্যে ১৮ টির কম হলে সেই সম্পর্ক শুভ ফলপ্রদ হবে না। ১৮ গুণের বেশি হলে বিবাহিত জীবনে সুখ ও শান্তি লাভ হয়।
আবার অনেক সময় লগ্ন ধরে রাশিচক্র বা জন্মকুণ্ডলী বিচার করা হয়। তবে যোটক বিচারে লগ্ন-র থেকে রাশিকে গুরুত্ব দেওয়া বেশি প্রয়োজন। কোন কোন রাশির জন্য কোন কোন রাশির মিলন শুভ তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন। পাত্র পাত্রীর যদি রাশি একই হয় তাহলে তা শুভ এবং রাজযোটক মিলন বলে ধরা হয়।