সংক্ষিপ্ত

  • জাতক বা জাতিকার জন্ম মাস তাঁর ব্যক্তিত্ব বা ভাগ্য় নির্ধারণে সাহায্য করে
  • কোনও ব্যক্তির আচরণ এবং তাঁর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য নির্ভর করে সেই ব্যক্তির জন্ম সময়, কাল বা জন্ম মাসের উপর
  • জাতকের ভাগ্য সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে দেওয়া সম্ভব তাঁর জন্ম মাস থেকে
  • জেনে নিন মাঘ মাসে জন্ম জাতক বা জাতিকার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে

মাঘ বাংলা সনের দশম মাস এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শকাব্দের একাদশ মাস। বাংলা মাঘ এবং শকাব্দের "মাঘা" নামটি এসেছে মঘা নক্ষত্রে সূর্যের অবস্থান থেকে। প্রশ্নকর্তার জন্মসময়, তারিখ এবং জন্মস্থানের ভিত্তিতে, জন্মকালে মহাকাশে গ্রহের অবস্থান নিরুপণ করে অথবা প্রশ্নের সময় গ্রহাদির অবস্থান নির্ণয় করে, অথবা হস্তরেখাবিচার, শরীরের চিহ্নবিচার ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহারে প্রশ্নকর্তার ভবিষ্যতের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করার জ্ঞান ও পদ্ধতিকে জ্যোতিষশাস্ত্র বলা হয়। আবার জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি বিভাগ দেশ, রাজ্য, শহর, গ্রাম ইত্যাদির এবং প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর যেমন বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ভূমিকম্প, ঝড়, ঝঞ্ঝা, মহামারী বা প্লাবণের ভবিষ্যদ্বাণী করতেও ব্যবহৃত হয়।

আরও পড়ুন- শনিবার সারাদিন কেমন কাটবে আপনার, দেখে নিন আপনার রাশিফল

তবে অনেকেই আছেন যারা এই শ্রাস্ত্রকে বিশ্বাস করেন না। আর যারা বিশ্বাস করেন তাদের তো আর কথাই নেই। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, জাতক বা জাতিকার জন্ম মাস তাঁর ব্যক্তিত্ব বা ভাগ্য় নির্ধারণে সাহায্য করে। একইভাবে কোনও ব্যক্তির আচরণ এবং তাঁর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য নির্ভর করে সেই ব্যক্তির জন্ম সময়, কাল বা জন্ম মাসের উপর। জাতকের ভাগ্য সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে দেওয়া সম্ভব তাঁর জন্ম, জন্মবার এবং জন্মমাস থেকে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, মাঘ মাসে জন্ম হলে, জেনে নিন সেই জাতক বা জাতিকার ব্যক্তিত্ব সম্বর্কে।

 

আরও পড়ুন- ব্রেকআপ হলে কার প্রতিক্রিয়া কেমন, জেনে নিন রাশি অনুযায়ী

মাঘ মাসে যাদের জন্ম তারা নিজ বুদ্ধিবলে শত্রুকে শাস্তি দিতে ও পরাজয় করতে সক্ষম। এরা সাধারনত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করেন। পরাধীনতা এদের একবারেই অপছন্দ। সব বিষয়ে নেতৃত্ব করতে এরা পছন্দ করেন। পাশাপাশি অত্যন্ত পরিশ্রমী। সব কাজ নিঁখুতভাবে করতে পছন্দ করেন। নিজ আদর্শের ছোঁয়া রেখে যান সব কাজে। এরা যখন যেই কাজ করে সেটাতেই মনোনিবেষ করেন। একটি কাজ শেষ করে তবে অন্য একটি কাজে হাত দিতে পছন্দ করেন এরা। অত্যন্ত বুদ্ধিমান হওয়া সত্ত্বেও মাঝেমধ্যেই নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরা অত্যন্ত সৎ প্রকৃতির মানুষ। এরা অপরকে সদুপোদেশ দিয়ে উন্নতির পথে চালিত করার চেষ্টা করেন। জ্ঞানত কারোও ক্ষতি এরা চান না। এরা অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ তাই শক্র জেনেও তাঁর বিপদে এরা ঝাপিয়ে পড়তে কুন্ঠিত বোধ করেন না। এরা খুব সহজেই অপরকে বিশ্বাস করে ফেলেন। তবে অনেকেই এদের সরলতার সুযোগ নিয়ে এদের ক্ষতি করেন।