সংক্ষিপ্ত
নীল রঙের অপরাজিতা ফুল- যা ভগবান বিষ্ণুর অত্যান্ত প্রিয়। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী শিব ঠাকুর তুষ্ট হয় এই ফুলে। দেবী দুর্গারও আরাধনা করতে এই ফুল জরুরি।
নীল রঙের অপরাজিতা ফুল- যা ভগবান বিষ্ণুর অত্যান্ত প্রিয়। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী শিব ঠাকুর তুষ্ট হয় এই ফুলে। দেবী দুর্গারও আরাধনা করতে এই ফুল জরুরি। কারণ নবমী তিথিতে পাঁচটি করে অপরাজিতা ফুল দিতে সন্তুষ্ট হন দেবী মা। হিন্দু ধর্মমতে এই ফুল শুভ বলে মনে করা হয়। এটি দেখতে অনেকটা ময়ুরের পুচ্ছের মত হয়। কৃষ্ণ থেকে শিব অনেক দেবতাই এই ফুল পছন্দ করেন। আর চণ্ডীপুরাণ অনুযায়ী দেবীর আরাধনায় অপরাজিতা ফুল জরুরি। জ্যোতিষ মতে কর্মজীবনে বাধা দূর করতে ও উন্নতি লাভের জন্য অপরাজিতা ফুল খুবই কার্যকরী। এক নজরে দেখে নিন অপরাজিত ফুলের প্রতিকার।
১. নবমীর দিন দেবীকে পাঁচটি করে অপরাজিতা ফুল দিন। সেই ফুলফল পরের দিন একটি মাথার মত করে গেঁথে ছেলে বা মেয়ের জামায় আটকে দিন। এমনভাবে আটকাবেন যাতে কেউ না দেখতে পায়। ইন্টারভিউ বা পরীক্ষা দেওয়া অবধি এই ফুল সঙ্গে রাখুন। তারপর জলে ভাসিয়ে দিন। দেখবেন সাফল্য আসবেই।
২. সোমবার বা শনিবার তিনটি অপরাজিতা ফুল জলে দিন। তার আগে অবশ্যই তিন ভগবান- শিব, বিষ্ণ ও দেবী চণ্ডীকে স্মরণ করুন। তাতে সাফল্য ধরা দেবে।
৩. দেবাী দূর্গা বা ভোলানাথ ও ভগবান বিষ্ণুকে একটি করে অপরাজিতার মালা অর্পণ করুন শুভ কাজে যাওয়ার আগে। তাহলে মনবাঞ্ছা পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
৪. আপনি যদি নিয়মিত পুজো করেন তাহলে অপরাজিতা ফুল অবশ্যই অর্পণ করুন শিব বিষ্ণু আর দেবীমাকে। কারণ এটি এমনই একটা ফুল যা তিন দেবতার প্রিয়।
৫. সোমবারে শিব পুজোর সময় শিবকে অবশ্যই অপরাজিতা ফুল দিন। শনি ও মঙ্গলবার দেবী চণ্ডী বা বাড়িতে কালী ঠাকুর বা দূর্গার মূর্তির থাকলে অপরাজিতা ফুল দিন। বৃহস্পতি ও রবিবার বিষ্ণুকে অপরাজিতা ফুল প্রদান করুন। তাহলে কেটে যাবে অনেক বাধা।