সংক্ষিপ্ত

পূজায় ব্যবহৃত প্রতিটি সামগ্রী রাখতে হবে। যার নেই, তাদের ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময় কোনও উপকরণের অভাবে পূজা অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আজ জেনে নিন জন্মাষ্টমীর পুজোর সময় কী কী উপকরণ প্রয়োজন। 
 

গোপাল ভক্তরা প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। এই বছর জন্মাষ্টমী পালিত হবে ১৮ আগস্ট। এমতাবস্থায় ব্রত থেকে শুরু করে পুজোর প্রয়োজনীয় উপকরণ এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। পূজায় ব্যবহৃত প্রতিটি সামগ্রী রাখতে হবে। যার নেই, তাদের ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময় কোনও উপকরণের অভাবে পূজা অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আজ জেনে নিন জন্মাষ্টমীর পুজোর সময় কী কী উপকরণ প্রয়োজন। 

জন্মাষ্টমী পূজার উপকরণ-
ধূপকাঠি, কর্পূর, জাফরান, চন্দন, সিঁদুর, সুপারি, পান, পুষ্পাঞ্জলি, পদ্ম, তুলসীর মালা, ধনে, যজ্ঞবেত ৫, কুমকুম, ধান, আবির, কাঁচি হলুদ, গোপালের গয়না, সপ্তমৃতিকা, সপ্তধন, কুশ ও দূর্বা, শুকনো ফল, গঙ্গাজল, মধু, চিনি, তুলসী ডাল, খাঁটি ঘি, দই, দুধ, মৌসুমি ফল, নৈবেদ্য বা মিষ্টান্ন, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, সুগন্ধি, সিংহাসন, ঝুলা। পঞ্চ পল্লব, পঞ্চামৃত, কলা পাতা, ওষুধ, শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি বা ছবি, গণেশের ছবি, অম্বিকার ছবি, ভগবানের পোশাক, গণেশকে নিবেদনের পোশাক, অম্বিকাকে নিবেদনের পোশাক, ফুলদানি, সাদা কাপড়, লাল কাপড়, পঞ্চ রত্ন, প্রদীপ, বড় প্রদীপের তেল, বন্দনাবর, পান, নারকেল, চাল, গম, গোলাপ ও লাল পদ্মফুল, দূর্বা, অর্ঘ্য পাত্র। 

ঈশ্বরের ভোগ-  
আটার পুরি, মাওয়া বরফি এবং পুডিং, ভোগ প্রস্তুত করুন। এর পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই দুধ-দই, মাখনের ব্যবস্থা করতে হবে, কারণ গোপাল দুধ-দই এবং মাখন খুব পছন্দ করেন। পঞ্চামৃত তৈরি করুন এবং সব ধরনের ফল রাখুন।

আরও পড়ুন- ২০২২ সালে জন্মাষ্টমী ১৮ ও ১৯ আগস্ট দুই দিন থাকবে, জেনে নিন আপনার জন্য উপবাসের সঠিক তারিখ কোনটি

আরও পড়ুন- জন্মাষ্টমী ২০২২ এই বছরে এই দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, শুভ যোগ-সহ জেনে নিন গোপাল পুজো করার সঠিক তিথি ও সময়

আরও পড়ুন- দুর্বল বুধের প্রভাব জীবনে আনে অসংখ্য সমস্যা, জেনে নিন দুর্বল বুধের কী কী লক্ষণ

জন্মাষ্টমী তিথি-
অষ্টমী তারিখ শুরু হয় - ১৮ আগস্ট রাত ৯ টা বেজে ২১ মিনিটে শুরু হবে
অষ্টমী তারিখ শেষ হয় - ১৯ আগস্ট রাত ১০ টা বেজে ৫৯ মিনিট পর্যন্ত 

এইভাবে পূজা করুন- 
জন্মাষ্টমীর দিন দেবকী, বাসুদেব, বলদেব, নন্দ, যশোদা ও মা লক্ষ্মীর নাম নিয়ে পূজা শুরু করুন। এই দিনে অবশ্যই বিষ্ণু পুরাণ এবং ভগবদ্গীতা পাঠ করা উচিত। পূজা শেষে প্রসাদ বিতরণ করুন।