সংক্ষিপ্ত

ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথিতে সংকষ্টী গণেশ চতুর্থীর উপবাস পালনের বিধান রয়েছে। এই বছর ভাদ্র সংকষ্টী চতুর্থী ১৫ আগস্ট সোমবার। একে হেরম্ব সংকষ্টী চতুর্থীও বলা হয়।
 

ক্যালেন্ডার অনুসারে, রাখি উত্সবটি শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে অর্থাৎ শ্রাবণী পূর্ণিমায় পালিত হয়। এরপর ভাদ্র মাস শুরু হয়। ভাদ্র মাস ভাদো নামেও পরিচিত। ভাদ্র মাসটি বিশেষভাবে শ্রী কৃষ্ণ ও ভগবান গণেশের পূজার জন্য উত্সর্গীকৃত। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথিতে সংকষ্টী গণেশ চতুর্থীর উপবাস পালনের বিধান রয়েছে। এই বছর ভাদ্র সংকষ্টী চতুর্থী ১৫ আগস্ট সোমবার। একে হেরম্ব সংকষ্টী চতুর্থীও বলা হয়।

ভাদ্র সংকষ্টী চতুর্থী ২০২২ শুভ মুহুর্ত-

পঞ্চাঙ্গ মতে, ১৪ আগস্ট রবিবার রাত ১০ টা ৩৫ মিনিটে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথি শুরু হচ্ছে। এই তারিখ ১৫ই আগস্ট সোমবার রাত ৯ টা ১ মিনিটে শেষ হবে। উদয় তিথিতে উপবাসের প্রথা অনুযায়ী আগামী ১৫ আগস্ট সোমবার ভাদ্র সংকষ্টী চতুর্থীর উপবাস পালিত হবে।

সংকষ্টী চতুর্থীতে চন্দ্রোদয় সময়-
ভাদ্র সংকষ্টী চতুর্থী উপবাসের দিন অর্থাৎ ১৫ আগস্ট রাত ০৯:২৭ মিনিটে চাঁদ উঠবে। একই সময়ে, চাঁদ ১৬ আগস্ট সকাল ৯ টা ৪ মিনিটে মিনিটে অস্ত যাবে। এমন পরিস্থিতিতে যারা ভাদ্র সংকষ্টী চতুর্থীতে উপবাস করেন। রাত ৯ টা ২৭ মিনিটে চাঁদ দেখার সময় তারা তাদের জল দিতে পারবে। ব্রত রাখার পর ব্রত ভেঙে ব্রত পূর্ণ করুন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী এই ব্রতয় চাঁদ দেখা ছাড়া ব্রত পূর্ণ বলে গণ্য হয় না।

ভাদ্র সংকষ্টী চতুর্থী ২০২২ এর শুভ যোগ-

অভিজিৎ মুহুর্তা : ১৫ আগস্ট সকাল ১১ টা ৫৯ মিনিট থেকে ১২ টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত
ধৃতি যোগ : ১৫ আগস্ট সকাল থেকে ১১ টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত
ব্রত পূজার মুহুর্তা : ১৫ই আগস্ট রাত ৯ টা ২৭ মিনিটে

আরও পড়ুন- ২০২২ সালে জন্মাষ্টমী ১৮ ও ১৯ আগস্ট দুই দিন থাকবে, জেনে নিন আপনার জন্য উপবাসের সঠিক তারিখ কোনটি

আরও পড়ুন- জন্মাষ্টমী ২০২২ এই বছরে এই দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, শুভ যোগ-সহ জেনে নিন গোপাল পুজো করার সঠিক তিথি ও সময়

আরও পড়ুন- দুর্বল বুধের প্রভাব জীবনে আনে অসংখ্য সমস্যা, জেনে নিন দুর্বল বুধের কী কী লক্ষণ

ভাদ্র সংকষ্টী চতুর্থী ২০২২ গুরুত্ব-
সংকষ্টী চতুর্থীর অর্থ হল চতুর্থী যা ঝামেলা দূর করে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে সংকষ্টী চতুর্থীর উপবাস পালন করে এবং সঠিক ও শুভ সময়ে ভগবান গণেশের পূজা করে তার সমস্ত ঝামেলা দূর হয় এবং সুখ ও সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়।
সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব রূপে পালিত হয় এই উৎসব। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশের পূজা বিধেয়। সাধারণত এই দিনটি প্রতি বছর ২০ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মাঝে কোনও এক দিন পড়ে। দশদিনব্যাপী গণেশোৎসবের সমাপ্তি হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিন। ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষ চতুর্থী মধ্যাহ্নব্যাপিনী পূর্বাবিদ্ধ – এই পূজার প্রশস্ত সময়। চতুর্থী দুই দিনে পড়লে পূর্বদিনে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এমনকি দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নের সম্পূর্ণ সময়ে চতুর্থী বিদ্যমান হলেও পূর্বদিন মধ্যাহ্নে এক ঘটিকার জন্যও যদি চতুর্থী বিদ্যমান থাকে তবে পূর্বদিনেই গণেশ পূজা হয়।

গণেশ পূজা ভারতের সর্বত্র অনুষ্ঠিত হলেও এই উৎসব মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু,অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত ও ছত্তিশগড় রাজ্যে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়। ভারতের বাইরে নেপালে এই উৎসব মহাসমারোহে পালিত হয়। শ্রীলঙ্কায় তামিল হিন্দুরাও এই উৎসব পালন করে থাকেন