সংক্ষিপ্ত

ধর্মীয় বিশ্বাস ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মথুরায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর শৈশব কেটেছে মথুরা ও বৃন্দাবনে। তাই এখানে শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর উৎসব অত্যন্ত চমৎকারভাবে পালিত হয়।
 

হিন্দু ধর্মে শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হিন্দু পঞ্চাঙ্গ মতে, প্রতি বছর ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত হয়। এবার এই উৎসব পালিত হবে ১৮ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার। এই দিনে মানুষ উপবাস করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা করে। শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উত্সব সমগ্র ভারত জুড়ে অত্যন্ত উত্সাহের সঙ্গে পালিত হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মথুরায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর শৈশব কেটেছে মথুরা ও বৃন্দাবনে। তাই এখানে শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর উৎসব অত্যন্ত চমৎকারভাবে পালিত হয়।

জন্মাষ্টমী ২০২২, তারিখ এবং সময়-
পঞ্জিকা অনুসারে, ১৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর উপবাস ও উত্সব পালন করা হবে। পঞ্জিকা অনুসারে, ভাদ্র কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি ১৮ আগস্ট রাত ৯ টা বেজে ২০ মিনিটে থেকে শুরু হবে এবং ১৯ আগস্ট রাত ১০ টা ৫৯ মিনিটে শেষ হবে।

কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ২০২২ ব্রত নিয়ম-
শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ব্রতের প্রথম রাতে হালকা খাবার গ্রহণ করতে হবে। এরপর পরের দিন অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীতে উপবাসের ব্রত নিন। তারপর বিশেষ করে সূর্য, সোম, ভূমি, আকাশ, সন্ধি, ভূত, যম, কাল, পবন, অমর, দিকপতি, খেচর, ব্রহ্মাদিকে হাত জোড় করে নমস্কার। এখন পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করে নিয়ম অনুযায়ী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা করুন। শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিন গোপালকে মাখন ও চিনি দেওয়া হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে সুখ, সমৃদ্ধি এবং দীর্ঘায়ু হয়।

জন্মাষ্টমী পালন-
হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিশেষত বৈষ্ণবদের কাছে জন্মাষ্টমী একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই উৎসব নানা ভাবে উদ্‌যাপন করা হয়। যেমন - ভগবত পুরাণ অনুযায়ী নৃত্য, নাটক যাকে বলা হয় রাসলীলা বা কৃষ্ণ লীলা, মধ্যরাত্রি তে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের মুহূর্তে ধর্মীয় গীত গাওয়া, উপবাস, দহি হান্ডি প্রভৃতি। রাসলীলাতে মূলত শ্রীকৃষ্ণের ছোটবেলার বিভিন্ন ঘটনা দেখানো হয়।

আরও পড়ুন- ২০২২ সালে জন্মাষ্টমী ১৮ ও ১৯ আগস্ট দুই দিন থাকবে, জেনে নিন আপনার জন্য উপবাসের সঠিক তারিখ কোনটি

আরও পড়ুন- জন্মাষ্টমী ২০২২ এই বছরে এই দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, শুভ যোগ-সহ জেনে নিন গোপাল পুজো করার সঠিক তিথি ও সময়

আরও পড়ুন- দুর্বল বুধের প্রভাব জীবনে আনে অসংখ্য সমস্যা, জেনে নিন দুর্বল বুধের কী কী লক্ষণ

অন্যদিকে দহি হান্ডি প্রথায় অনেক উঁচুতে মাখনের হাড়ি রাখা হয় এবং অনেক ছেলে মিলে মানুষের পিরামিড তৈরি করে সেই হাড়ি ভাঙ্গার চেষ্টা করে। তামিলনাড়ুতে এ প্রথা উড়িয়াদি নামে পরিচিত। এই দিন কৃষ্ণের প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত করার জন্য অভুক্ত থাকে, ধর্মীয় গান গায় এবং উপবাস পালন করে। 

শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তিথিতে মধ্যরাতে তার ছোট ছোট মূর্তি কে স্নান করিয়ে কাপড় দিয়ে মোছা হয় এবং দোলনায় সাজানো হয়। তারপর উপাসক মন্ডলী নিজেদের মধ্যে খাদ্য ও মিষ্টান্ন বিনিময় করে উপবাস ভঙ্গ করে। গৃহস্ত মহিলারা বাড়ির বিভিন্ন দরজার বাইরে, রান্নাঘরে শ্রী কৃষ্ণের পদচিহ্ন এঁকে দেন যা শ্রীকৃষ্ণের যাত্রা হিসেবে মনে করা হয়।