সংক্ষিপ্ত

শৈশব থেকে যৌবন পর্যন্ত তার অনেক আশ্চর্যজনক ঘটনার কথা বেশিরভাগ মানুষই জানেন। জানেন কি কেন কৃষ্ণকে তার জন্মস্থান মথুরা ছাড়তে হয়েছিল? জন্মাষ্টমীর শুভ উপলক্ষ্যে আসুন জেনে নিই এই মজার গল্পটি।

কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর উৎসব পালিত হয় ব্যাপক আড়ম্বরে। কিছু কিছু জায়গায় আজ জন্মাষ্টমী পালিত হলেও বেশিরভাগ জায়গায় জন্মাষ্টমী পালিত হবে ১৯ আগস্ট। মথুরায়ও জন্মাষ্টমীর উৎসব পালিত হবে শুধুমাত্র ১৯ আগস্ট। পুরাণে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অনেক বিনোদনের উল্লেখ আছে। শৈশব থেকে যৌবন পর্যন্ত তার অনেক আশ্চর্যজনক ঘটনার কথা বেশিরভাগ মানুষই জানেন। কিন্তু জানেন কি কেন কৃষ্ণকে তার জন্মস্থান মথুরা ছাড়তে হয়েছিল? জন্মাষ্টমীর শুভ উপলক্ষ্যে আসুন জেনে নিই এই মজার গল্পটি।

জন্ম নগরী কৃষ্ণের খুব প্রিয় ছিল
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর জন্ম নগরী মথুরার প্রতি অত্যন্ত অনুরক্ত ছিলেন। তাঁর শৈশব কেটেছে গোকুল, বৃন্দাবন, নন্দগাঁও, বারসানার মতো জায়গায়। নিষ্ঠুর মামা কংসকে হত্যা করার পর তিনি তার পিতামাতাকে কারাগার থেকে মুক্ত করেন। জনসাধারণের অনুরোধে কৃষ্ণ সমগ্র মথুরা রাজ্য দখল করেন। সেখানকার মানুষও কংসের মতো নিষ্ঠুর শাসকের কাছ থেকে মুক্তি চেয়েছিল, কিন্তু তা এত সহজ ছিল না। কংসকে হত্যা করার পর তার শ্বশুর জরাসন্ধ কৃষ্ণের ঘোর শত্রুতে পরিণত হন। নিষ্ঠুর জরাসন্ধ ছিল মগধের শাসক। হরিবংশ পুরাণ অনুসারে জরাসন্ধ তার সাম্রাজ্য বাড়াতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তিনি অনেক রাজাকে পরাজিত করেছিলেন এবং তাদের অধীনস্থও করেছিলেন। কংসের মৃত্যুর পর তিনি কৃষ্ণের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন এবং মথুরা দখল করতে চেয়েছিলেন।



জরাসন্ধ ১৮ বার মথুরায় আক্রমণ করেছিলেন
পুরাণ অনুসারে, জরাসন্ধ ১৮ বার মথুরা আক্রমণ করেছিলেন যাতে তিনি ১৭ বার ব্যর্থ হন। শেষবারের মতো জরাসন্ধ আক্রমণের জন্য একজন বিদেশী শক্তিশালী শাসক কালায়নকেও সঙ্গে নিয়েছিলেন। যুদ্ধে কালায়বন নিহত হন, তার পর তার দেশের মানুষ কৃষ্ণের শত্রু হয়ে ওঠে। মথুরার সাধারণ মানুষও বারবার এই যুদ্ধে জর্জরিত হয়। নগরীর নিরাপত্তা দেয়ালও ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে। অবশেষে সমস্ত বাসিন্দাদের সাথে কৃষ্ণ মথুরা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কৃষ্ণ যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিনি যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যাবেন না তবে তার নির্বাচিত স্থান এবং বিন্যাস অনুসারে যুদ্ধ করবেন।

কৃষ্ণ দ্বারকা নগরী প্রতিষ্ঠা করেন
কৃষ্ণ মথুরার সমস্ত লোককে নিয়ে গুজরাটের উপকূলে কুশস্থলীতে আসেন। এখানে তিনি তার বিশাল দ্বারকা নগরী নতুন করে গড়ে তোলেন। জনগণের নিরাপত্তার জন্য তিনি চারদিক থেকে মজবুত প্রাচীর দিয়ে পুরো শহরকে সুরক্ষিত করেছিলেন। পুরাণ অনুসারে, শ্রী কৃষ্ণ এখানে ৩৬ বছর রাজত্ব করেছিলেন।