সংক্ষিপ্ত
বছরের দ্বিতীয় মাস জৈষ্ঠ্য। পাশাপাশি রাশিচক্রের অষ্টম রাশি বৃশ্চিক। এই রাশির অধিকর্তা গ্রহ মঙ্গল। এই রাশির জাতক-জাতিকারা একটু চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। জেনে নেওয়া যাক বছরের দ্বিতীয় মাস বৃশ্চিকরাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে-
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির জৈষ্ঠ্য মাসের শেষার্ধ ও মে মাসের প্রথমার্ধ নিয়ে জৈষ্ঠ্য মাস। বৈদিক পঞ্জিকায় এই মাসকে মাধব মাস এবং বৈষ্ণব পঞ্জিকায় একে মধুসূদন মাস বলে। "জৈষ্ঠ্য" শব্দটি এসেছে বিশাখা নামক নক্ষত্রের নাম থেকে। এই মাসে বিশাখা নক্ষত্রটিকে সূর্যের কাছে দেখা যায়। প্রথাগত দিক থেকে জৈষ্ঠ্য মাস থেকে গ্রীষ্ম ঋতুর শুরু ধরা হয়। এই মাসে সন্ধ্যা বেলায় মাঝে মাঝে কালবৈশাখী ঝড় ওঠে। এই ঝড়ে মাঝে মাঝেই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি ঘটে।
বৃশ্চিক রাশির ব্যক্তিত্ব-
রাশিচক্রের অষ্টম রাশি বৃশ্চিক। এই রাশির অধিকর্তা গ্রহ মঙ্গল। বৃশ্চিক, মেষ, কুম্ভ ও মিথুন রাশির লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব বা বিবাহ সুখের হয়। এদের মধ্যে যে লক্ষণ সাধারণত দেখা যায়, তা হল এরা খুব সৌন্দর্য ও ভোগবিলাস প্রিয়, ভাবপ্রবণ, বিজ্ঞ, রাজনীতিক, প্রখর অনুমান শক্তিসম্পন্ন ও প্রেমিক। এই ব্যক্তিদের বিচার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা প্রবল। জাতক সৎকর্ম পরায়ণ, বহু ভাষায় অভিজ্ঞ। এরা চাকরি অপেক্ষা ব্যবসায় উন্নতি বেশি করবে। জাতক শান্তি প্রিয় তবে ভিরু নয়। এরা খেতে খাওয়াতে খুব ভালবাসে। ধর্ম ভাব বেশি থাকলেও তা চাপা থাকে। এই রাশির জাতক-জাতিকারা একা থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। তবে জেনে নেওয়া যাক জৈষ্ঠ্য মাস বৃশ্চিক রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে-
আরও পড়ুন- বাংলা বছরের দ্বিতীয় মাস কেমন প্রভাব ফেলবে মিথুন রাশির উপর, জেনে নিন বিস্তারিত
আরও পড়ুন- বাংলা বছরের দ্বিতীয় মাস কেমন প্রভাব ফেলবে কর্কট রাশির উপর, জেনে নিন বিস্তারিত
আরও পড়ুন- বাংলা বছরের দ্বিতীয় মাস কেমন প্রভাব ফেলবে সিংহ রাশির উপর, জেনে নিন বিস্তারিত
বৃশ্চিক রাশির উপর জৈষ্ঠ্য মাসের প্রভাব কেমন থাকবে -
জৈষ্ঠ্য মাস বৃশ্চিক রাশির সমস্যা সমাধানের জন্য অভিভাবকদের যথেষ্ট সাহায্য পাবেন। সংসারের চিন্তায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। অসুস্থতার কারণে কাজের ক্ষতি হতে পারে। সঙ্গীর সঙ্গে বিবাদ ও মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। কর্মস্থান নিয়ে মনে ভয় আসতে পারে। কোনও ভালো কাজ করার জন্য সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে। বন্ধুদের সঙ্গে খুব ভালো সময় কাটবে। বেকারদের নতুন চাকরির সুযোগ মিলতে পারে। ব্যবসার জন্য বাড়তি ধনলাভ হতে পারে। ব্যবসার জন্য ঋণ গ্রহন করতে হতে পারে। অতিরিক্ত খরচের জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি বিচ্ছেদ অবধি গড়াতে পারে।