সংক্ষিপ্ত

ইতিহাস অনুযায়ী প্রায় ২ মিলিয়ন বছরে আগে চকমকি পাথরের ব্যাবহার ছিল। এই পাথর জ্বেলে আদিম মানুষ সেই সময় গুহার অন্ধকার দূর করছে।

চকমকে পাথর  দেখেছেন নিশ্চিয়। মনে আছে আমরা অনেকেই ছোটবেলায় এই পাথর নিয়ে খেলেছি। রেল লাইনের থাকা এজাতীয় পাথর নিয়ে আমরা অনেক সময়ই ঘষে ঘষে আগুন জ্বালিয়েছি- মনে পড়েছে কোনটা চমকম পাথর বা ফ্লিন্ট। সাদা রঙের এই পাথরগুলির আশ্চার্য ক্ষমতা রয়েছে। এগুল। যা জানলে অবাক হবেন আপনিও। 

ইতিহাস অনুযায়ী প্রায় ২ মিলিয়ন বছরে আগে চকমকি পাথরের ব্যাবহার ছিল। এই পাথর জ্বেলে আদিম মানুষ সেই সময় গুহার অন্ধকার দূর করছে। এই জাতীয় পাথর সহজেই নদীর তীর, সমুদ্র বা বনে পাওয়া যায়। এই পাথর সাধারণত কোয়ার্টজ, চের্ট, অবসিডিয়ান, এগেট বা জ্যাম্পার নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা এইজাতীয় পাথরগুলিকে চের্ট নামে চিহ্নিত করেন। 

এবার জেনেন নিন এই পাথরের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার-
১. আপনার কাছে কোনও দেশলাই বাক্স নেই। কিন্তু আপনার হাতের কাছে যদি এই পাথর থাকে তাহলে সহজেই আলো জ্বালতে পারেন। সাদা রঙের এই পাথরটি থেকে খুব উজ্জ্বল আলো বার হয়। 
২. প্রাচীন মানুষ এই পাথর ভেঙে ধারালো অস্ত্র তৈরি করত। আধুনিককালে এই পাথর ড্রিলিংএর জন্য ব্যবহৃত হয়। 
৩. ফ্লিন্ট একটি রত্ন হিসেবে ব্যবহার করেন অনেকে। এটি আত্মবিশ্বাস পাড়ায়। মনে সাহস যোগায়। হতাশা দূর করে। প্রাচীন শাস্ত্র অনুযায়ী এটি ৮৪টি রত্নের মধ্য়ে পড়ে। 
৪. বাড়ি সাজাতে এই পাথরের জুড়ি মেলা ভার। সাদা, গোলাপি, নীল, সবুজ আর ধুসর রঙের পাথর পাওয়া যায়। অনেকেই আবার দেওয়ালে এই পাথর ব্যবহার করেন। 
৫. এই পাথরটি অলঙ্কার ও গয়না তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এটি গ্রেডিং, কাটিং ও পালিশিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়। রত্ন অলঙ্কৃত করার কাজেও লাগে এই পাথর।