সংক্ষিপ্ত
- দেখতে অতি সাধারণ হলেও এই পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ শান্তিদায়ক, পাপনাশক
- গো-ব্রাহ্মণ হত্যাকারীর সমতুল্য পাপমোচন করে এই রুদ্রাক্ষ
- এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
- সমস্ত নিয়ম মেনে চললে তবেই এর ফল পাওয়া যায়
পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ স্বয়ং কালাগ্নি শক্তির কেন্দ্র। দেখতে অতি সাধারণ হলেও এই পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ শান্তিদায়ক, পাপনাশক। একইসঙ্গে মনে করা হয় গো-ব্রাহ্মণ হত্যাকারীর সমতুল্য পাপমোচন করে এই রুদ্রাক্ষ। এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে মনে করেন সাধু সন্ন্যাসীরা। খুব সহজেই এই রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায়। তবে এই পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণের জন্য কিছু নিয়ম আছে। সেই সমস্ত নিয়ম মেনে চললে তবেই এর ফল পাওয়া যায়। জেনে নেওয়া যাক এই পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণের নিয়ম ও উপকারীতা-
এই রুদ্রাক্ষ একসঙ্গে তিনটি ধারণ করতে হবে। একটি বা দুটিতে কোনও কাজ হয় না।
সোমবার গঙ্গাজলে শোধন করে লাল সুতোয় করে এটি ধারণ করতে হবে।
অনেক সময় সাধু সন্ন্যাসীদের সুবর্নের হারের সঙ্গেও রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে দেখবেন। তাঁদের মতে এই ভাবে রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে রুদ্রলোক প্রাপ্ত হয়।
পূর্বজন্মের পূণ্য থাকলে তবেই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা যায়। দেবাদিদেব মহাদেবের কৃপাদৃষ্টি থাকলে তবেই শ্রদ্ধার সঙ্গে রুদ্রাক্ষ ধারণ করার সম্ভব হয়।
পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণের ফলে মানুষের ভাব মূর্তির অনেকটা পরিবর্তন ঘটায়।
মনে করা হয় পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ পঞ্চ ব্রহ্মার রূপ। রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে দেবাদিদেব মহাদেব সর্বদা সন্তুষ্ট থাকেন।