সংক্ষিপ্ত
- শাস্ত্রমতে প্রতিটি রুদ্রাক্ষের মধ্যে দেবাদিদেব মহাদেবের প্রভাব বর্তমান
- হিন্দুশাস্ত্র মতে রুদ্রাক্ষের অর্থ হল ভগবান শিবের তৃতীয় চোখ থেকে জন্ম নিয়েছে যে উপাদান
- দ্বীমুখি রুদ্রাক্ষ অনেকক্ষেত্রে 'হরগৌরী' নামে পরিচিত
- এই রুদ্রাক্ষ ধারণে মানুষ অপরাজেয় হয়
শাস্ত্রমতে প্রতিটি রুদ্রাক্ষের মধ্যে দেবাদিদেব মহাদেবের প্রভাব বর্তমান। তবে সব রুদ্রাক্ষের মধ্যে সেই বিশেষ গুণ থাকে না তা রয়েছে বিশেষ কয়েকটি রুদ্রাক্ষেই। হিন্দুশাস্ত্র মতে রুদ্রাক্ষের অর্থ হল ভগবান শিবের তৃতীয় চোখ থেকে জন্ম নিয়েছে যে উপাদান। রুদ্রাক্ষের মধ্যে বহু প্রকার শক্তি কেন্দ্রীভুত থাকে বলে মনে করা হয়।
দ্বীমুখি রুদ্রাক্ষ অনেকক্ষেত্রে 'হরগৌরী' নামে পরিচিত। মনে করা হয় এই রুদ্রাক্ষ ধারণে মনের একাগ্রতা বৃদ্ধি পায় সেই সঙ্গে জীবনে শান্তি এনে দেয়। ‘ওঁ নমো শিবায়’মন্ত্র উচ্চারণ করে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে এই রুদ্রাক্ষ উজ্জীবিত হয়। এই দ্বীমুখি রুদ্রাক্ষ ডান হাতে বা গলায় ধারণ করলে তিন জন্মের পাপ দূর হয়, বলে মনে করা হয়।
রাশিচক্রে কেতুগ্রহ নীচস্থ, পাপপীড়িত বা যে কোনও অশুভভাব এবং গ্রহের শান্তির জন্য এই রুদ্রাক্ষ নিয়ম মেনে 'ওঁ শ্রীং' মন্ত্র ১০৮ বার জপ করে ধারণ করলে রাশি ও গ্রহের সমস্ত দোষ কেটে যায়।
এই রুদ্রাক্ষকে মনে করা হয় দেব দেবীর সমতুল্য। তাই মনে করা হয় এই রুদ্রাক্ষ ধারনকারী সকল দেবদেবীর আশীর্বাদ পান এবং তাঁর সকল রকমের সমস্যা কেটে যায়। ধারনকারীর যদি কোনও কু-অভ্যাস থাকে তাহলে সেটা এই রুদ্রাক্ষ ধারনে দূর হয়ে যায়।