সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার ভোর ৬.৩৫ মিনিটে তা ছেড়ে যাচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই কৌশিকী অমাবস্যার দিন হিসেবে মঙ্গলবারকেই চিহ্নিত করা রয়েছে। কারণ এদিন সূর্যোদয় পেয়েছে অমাবস্যা।
আজ, সোমবার কৌশিকী অমাবস্যা। এদিন সকাল থেকেই পুজো শুরু হয় তারাপরীঠে। এই বিশেষ তিথির সঙ্গে তারাপীঠের এক গভীর যোগ রয়েছে। কারণ, এদিন তন্ত্র সাধনা, যোগ্য বা মনের কোনও ইচ্ছা পূরণ করার মক্ষম তিথি। আর তাই মা কালীর আরাধনা শুরু হয়েছে তারাপীঠে সকাল থেকেই। সোমবার সকাল ৭.০৭ মিনিটে এই অমবস্যা লাগে। যার থাকবে দিনভর। রাত পোহালে মঙ্গলবার ভোর ৬.৩৫ মিনিটে তা ছেড়ে যাচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই কৌশিকী অমাবস্যার দিন হিসেবে মঙ্গলবারকেই চিহ্নিত করা রয়েছে। কারণ এদিন সূর্যোদয় পেয়েছে অমাবস্যা।
সঠিক রীতি নীতি মেনে ভাদ্রমাসের এই তিথিতে পুজো করলে মিলবে সুফল। এই বিশেষ দিনেই ব্রহ্মাকে তুষ্ট করেছিলেন শুম্ভ-নিশুম্ভ। তাঁদের সাধনায় মুগ্ধ হয়ে বরও দিয়েছিলেন ব্রহ্মা। যে কাহিনি মহালয়ার প্রাতকালে সকলেই শুনে থাকেন। তাই কথিত আছে, এদিন মন থেকে নিয়ম মেনে পুজো করলে, মনের বাসনা পূর্ণ হয়। আর সেই সুবাদেই তারাপীঠে এই বিশেষ দিনে উপচে পড়ে ভিড়। এই বিশেষ তিথিতে বহপ পরিবারে মা কালী পূজিত হন। তবে মানতে হয় বিশেষ কিছু নিয়ম।
এই তালীপুজোয় কোনও রকমের ফাঁক রাখা চলবে না। ক্রটি মুক্ত হতে হবে পুজো। পুজোর প্রতিটা জিনিস দেখে যত্ন করে গুছিয়ে নিতে হয় আগে থেকেই। যাতে সময় সময় তা পাওয়া যায়। এদিন মায়ের আসনের পাশে সারাক্ষণ ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে হয়। নজর রাখতে হবে তা যেন কোনও মতেই নিভে না যায়। পুজোর সরঞ্জামের মধ্যে অবশ্যই যেন থাকে সামান্য আতপ চাল, নারিকেল ও ১০৮টা জবা ফুল।