সংক্ষিপ্ত
১০ সেপ্টেম্বর, গণেশ চতুর্থী। এই বিশেষ দিনে গণেশ বন্দনায় গোটা দেশ ব্যস্ত। সিদ্ধিদাতা গণেশের কৃপাদৃষ্টি পেতে এবার বাড়িতেই এই নিয়ম মেনে পুজো করুন।
আজ, শুক্রবার গণেশ চুর্তুর্থী। এই বিশেষে দিনে গণেশ বন্দনায় মেতে ওঠে গোটে সকলেই। সিদ্ধিদাতা গণেশের মঙ্গল মূর্তী পুজো করলে মন শান্ত হয়, কেটে যায় অশুভ শক্তির প্রভাব। খারাপ সময় পাল্টে ভালো সময় উপস্থিত হয়। তাই বিপদ কাটাতে ও মনোবাঞ্ছা পূরণ করতে এই মঙ্গলমূর্তীর আরাধনায় বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। ভাদ্র মাসে শুক্লপক্ষের চতুর্থী প্রতিবছর পূজিত হন গণেশ ঠাকুর। ভারতের বুকে মহারাষ্ট্রে এই পুজো মহা ধুমধামে হয়ে থাকে। এক কথায় বলা যেতে পারে এই বিশেষ দিনটি গণেশের জন্মদিন উপলক্ষে পালিত হয়ে থাকে।
চলতি বছর এই পুজো পড়েছে ১০ সেপ্টেম্বর। এইসময় মহারাষ্ট্রে টানা চার দিনব্যাপী উৎসব। কোথাও বাতা দুদিনে পূজিত হয়ে থাকেন। এবার কখন শুরু হচ্ছে গণেশ পূজার লগ্ন, কোন তিথিতে পুজোয় বসলে পূরণ হবে মনস্কামনা, রইল বিশদ খবর। ১০ সেপ্টেম্বর সারাদিন এই তিথি রয়েছে বলা চলে। কারণ ৯ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত্রি বারোটার ১৭ মিনিট থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে এই পুজোর তিথি। যা চলবে ১০ সেপ্টেম্বর রাত দশটা পর্যন্ত। পুরাণ অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন সিদ্ধিদাতা গণেশ।
এই পুজো চলতে পারে ২ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত। বাড়িতেও নিজেই এই মঙ্গলমূর্তী স্থাপন করা যায়। এই শুভ দিনে গণেশ বন্দনার আয়োজনে রাখতে হবে ২১ টি দূর্বা ঘাস, ২১ টি মোদক ও লাল ফুল। মূর্তীর মাথায় দিতে হয় চন্দনের টিকার। এরপর গণেশ মূর্তীর সামনে একটি আস্ত নারিকেল দিতে হয়। লাড্ডু সহযোগে ১০৮টি নাম করতে হয় গণেশ ঠাকুরের। এই কয়েকটি নিয়ম মেনে পুজো করেই সিদ্ধিলাভ সম্ভব।