সংক্ষিপ্ত
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাস্তু শান্তির পূজা করলে ঘরের ভিতরের সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর হয়, ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। উত্তরায়ণ সনে বাস্তু পূজা করেই নতুন গৃহে প্রবেশ করতে হবে।
শাস্ত্র অনুসারে মাঘ, ফাল্গুন, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ প্রভৃতি মাস গৃহপ্রবেশে শুভ বলে বিবেচিত হয়েছে। এ মাসে যারা ঘরে প্রবেশ করে তারা সম্পদ ও তৃপ্তি লাভ করে। আমাদের জীবনে বাস্তুর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটা আমাদের দৈনন্দিন রুটিন প্রভাবিত করে। প্রায়শই মানুষ মনে করে যে ঘরে সমস্যা আছে বা প্রতিদিন কিছু ক্ষতি হচ্ছে। যে কোন কাজ এগিয়ে নিতে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্ত পরিস্থিতির পিছনে বাস্তু ত্রুটি থাকতে পারে। বাড়িতে উপস্থিত এই বাস্তু দোষ দূর করার জন্য যে পূজা করা হয় তাকে বাস্তু শান্তি পূজা বলে।
বাস্তু শব্দটি এসেছে বস্তু থেকে- বস্তু মানে যেকোনো বস্তু, মূলত বাস্তু বলতে সব কিছুকেই বুঝায়- তা একটি স্থান হতে পারে- কিংবা একটা বাড়িও হতে পারে। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে স্থাপত্য নির্মাণকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই বাস্তু অনুসারে এমন অেক নিয়ম আছে যা ঘরের নেগেটিভ শক্তি দূর করতে কাজ দেয়।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাস্তু শান্তির পূজা করলে ঘরের ভিতরের সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর হয়, ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। উত্তরায়ণ সনে বাস্তু পূজা করেই নতুন গৃহে প্রবেশ করতে হবে। তার আগে যতটা সম্ভব বাস্তু জপ করতে হবে। শাস্ত্র মতে মাঘ, ফাল্গুন, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ প্রভৃতি মাস গৃহপ্রবেশে শুভ বলে বিবেচিত হয়েছে। মাঘ মাসে প্রবেশকারী ব্যক্তি অর্থ লাভ করেন।
বাড়িতে শান্তি পূজা না হওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে
বাড়িতে ঢোকার আগে শান্তিপূজা না করলে দুঃস্বপ্ন আসে। সর্বদা অকাল মৃত্যু, দুর্ভাগ্য ইত্যাদির ভয় থাকে।
বাড়ি নির্মাণকারীকে প্রচণ্ড ঋণের সম্মুখীন হতে হয়, এবং ঋণ দ্রুত তা থেকে মুক্তি পায় না, ঋণ বাড়তেই থাকে।
ঘরের পরিবেশে সবসময়ই কলহ আর অশান্তি বিরাজ করে। এ নিয়ে বাড়ির লোকজনের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়। দাম্পত্য জীবনও সুখের হয় না।
সেই বাড়ির লোকেরা সর্বদা কোন না কোন রোগে ভুগে থাকে এবং সেই বাড়িটি সর্বদা রোগের আস্তানায় পরিণত হয়।
বাড়ির নির্মাতাকে ছেলেদের থেকে বিচ্ছেদের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
যে বাড়িতে বাস্তু দোষ ইত্যাদি থাকে, সেই বাড়িতে আশীর্বাদ থাকে না অর্থাৎ টাকা থাকে না। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হবে বলে মনে হয়।
এমন বাড়িতে কখনও প্রবেশ করা উচিত নয় যেখানে কখনও যজ্ঞ ও ব্রাহ্মণ ভোজন হয়নি। কারণ সেই বাড়ি দুর্ঘটনাজনিত দুর্যোগ প্রদান করে।
আরও পড়ুন- জন্মছকে বুধের প্রভাব, জ্যোতিষ মতে জানুন এর প্রভাবে জীবনে কি কি পরিবর্তন ঘটে
আরও পড়ুন- আর্থিক সমস্যা থেকে সঞ্চয়ে বাধা, বাস্তুর এই নিয়ম মেনে কাটিয়ে উঠুন সকল সমস্যা
আরও পড়ুন- অন্যতম ও ঐতিহ্যবাহী বুদ্ধ পূর্ণিমা, জানুন এর তিথি, শুভ সময় এবং ধর্মীয় তাৎপর্য