সংক্ষিপ্ত
শিবের পঞ্চাক্ষর মন্ত্র ' ওম নমঃ শিবায়'-এর মহিমা সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই অনেক কিছু শুনেছেন । অত্যন্ত সহজ ও কার্যকরী এই মন্ত্রটিকে সর্বক্ষেত্রে মানুষের কল্যাণের মন্ত্র বলা হয়। শিবের এই মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে পৃথিবী, অগ্নি, জল, আকাশ ও বায়ুর পঞ্চ উপাদান নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এই পঞ্চাক্ষর স্তোত্রের মন্ত্রগুলিতে পঞ্চাননের সমস্ত শক্তি অর্থাৎ পঞ্চমুখী মহাদেব রয়েছে। এই স্তোত্রটি যদি আন্তরিক চিত্তে নিয়মিত পাঠ করা হয়, তাহলে অসম্ভব কাজও সম্ভব করা যায়। মহাশিবরাত্রির দিন থেকেই শুরু করতে পারেন। এবার মহাশিবরাত্রি পড়ছে মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২-এ।
শিবের পঞ্চাক্ষর মন্ত্র ' ওম নমঃ শিবায়'-এর মহিমা সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই অনেক কিছু শুনেছেন । অত্যন্ত সহজ ও কার্যকরী এই মন্ত্রটিকে সর্বক্ষেত্রে মানুষের কল্যাণের মন্ত্র বলা হয়। শিবের এই মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে পৃথিবী, অগ্নি, জল, আকাশ ও বায়ুর পঞ্চ উপাদান নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই মন্ত্রটিকে মোক্ষ বলে মনে করা হয় এবং এটি সমস্ত বেদের সারাংশ। এই মন্ত্রের প্রতিটি অক্ষর নিজেই খুব শক্তিশালী। এই পঞ্চাক্ষর মন্ত্রের প্রতিটি অক্ষরের মহিমাকে মহিমান্বিত করার জন্য, জগদ্গুরু আদি শঙ্করাচার্য পঞ্চাক্ষর স্তোত্র তৈরি করেছেন । এই স্তোত্রে পঞ্চাক্ষরের (ন, ম, শি, ভা, য়) শক্তি বর্ণনা করা হয়েছে।
এটি পঞ্চাক্ষর স্তোত্র
নগেন্দ্রারায় ত্রিলোচনয় ভাসমঙ্গারাগাই মহেশ্বরায়, নিত্যয় শুদ্ধায় দিগম্বরায় তসমই 'ন' করায় নমঃ শিবায়।
মন্দাকিনী সলিলচন্দনচরিতায় নন্দীশ্বর প্রমথনাথ মহেশ্বরায়, মন্দারপুষ্পবাহুপুষ্প সুপুজিতায় তসমই 'ম' করায় নমঃ শিবায়।
শিবায় গৌরীবদনবজবৃন্দ সূর্যায় দক্ষিণধ্বরনশকে, শ্রীনীলকান্তই বৃষধ্বজয় তসমই 'শী' করয় নমঃ শিবায়।
বশিষ্ঠকুম্ভোদ্ভব গৌতমর্য মুনীন্দ্রদেবার্চিত শেখরায়, চন্দ্রক বৈশ্বনর্লোচনায় তস্মৈ ' ব' করয় নমঃ শিবায়।
যক্ষস্বরূপায় জটাধারায় পিনাকহস্তয় সনাতনয়, দিব্যয় দেবায় দিগম্বরায় তসমই ' য' করয় নমঃ শিবায়।
পঞ্চাক্ষরামিদম্ পুণ্যম্ যঃ পথেত শিব সন্নিধাঃ, শিবলোকমবাপ্নোতি শিবন সহ মোদতে।
পঞ্চাক্ষর স্তোত্রের মহিমা
কথিত আছে যে, এই স্তোত্রটি শ্রদ্ধাভরে পাঠ করলে শিব অত্যন্ত প্রসন্ন হন। এতে ব্যক্তির সমস্ত কষ্ট দূর হয় এবং সে এই পৃথিবীতে নির্ভয়ে বসবাস করে। এই স্তোত্রটি একজন ব্যক্তির অকাল মৃত্যু এড়াতে পারে। এছাড়াও নিয়মিত পাঠ করলে কাল সর্প দোষের প্রভাবও দূর হয়। শিব পঞ্চাক্ষর স্তোত্র পাঠ করার সময় কর্পূর ও সুগন্ধি ব্যবহার করতে হবে।