সংক্ষিপ্ত

ভক্তরা মন্দিরে শিবের অর্ধনারীশ্বর রূপেরও দর্শন পেতে পারেন। প্রীত বিহারে অবস্থিত শিব মন্দিরের গুহার প্রাচীর প্রধান সুরেন্দ্র দিওয়ান জানান, ভক্তরা দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গে জলাভিষেক করতে পারবেন।
 

প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে মহা শিবরাত্রি (মহা শিবরাত্রি ২০২২) পালিত হয়। এই দিনটি শিব ও মা পার্বতীর বিশেষ পূজা ও পূজার দিন। কথিত আছে এই দিনে মহাদেব ও মাতা পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল। মহাদেবের ভক্তরা এই উৎসব পালন করেন। উপবাস ও মহাদেবের পূজা ছাড়াও সমস্ত মন্দির থেকে শিবের শোভাযাত্রা বের করা হয় এবং আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভগবান শিব ও মা পার্বতীর বিয়ে হয়। 

যেখানে শিব পুরাণকথিত আছে মহাশিবরাত্রির রাতে আদিদেব ভগবান শিব কোটি সূর্যের প্রভাবে শক্তিশালী শিবলিঙ্গ রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তাই এ রাতকে জাগরণের রাত বলা হয়। এবার মহাশিবরাত্রি পড়ছে ১ মার্চ মঙ্গলবার। আপনিও যদি মহাশিবরাত্রির দিনে উপবাস করেন, তাহলে অবশ্যই এই দিনে শিবলিঙ্গের পূজা করুন। মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে মন্দিরগুলোতে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। কোথাও সোনার মুকুট পরে বসবেন দেবাদিদেব, আবার কোথাও দেশি-বিদেশি ফুলে সাজানো হবে মহাদেব-কে। মহাশিবরাত্রির দিন ভক্তরা মন্দিরে জলাভিষেক করতে পারবেন।
ছত্তরপুর মন্দির ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.কিশোর চাওলা জানান, আগামী ১লা মার্চ মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে শিব-পার্বতীর মূর্তিকে সোনার মুকুট ও সোনার ছাতা পরানো হবে। ভক্তরা মন্দিরে শিবের অর্ধনারীশ্বর রূপেরও দর্শন পেতে পারেন। প্রীত বিহারে অবস্থিত শিব মন্দিরের গুহার প্রাচীর প্রধান সুরেন্দ্র দিওয়ান জানান, ভক্তরা দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গে জলাভিষেক করতে পারবেন।
চাঁদনি চকের গৌরী শঙ্কর মন্দিরের ব্যবস্থাপক তেজ প্রকাশ শর্মা জানান, মন্দির চত্বর ফুলের মালা, শুকনো ফল, ময়ূরের পালক ও মুক্তো দিয়ে সাজানো হচ্ছে। বাইরের অংশ রঙিন আলোয় আলোকিত হবে। করোনার কারণে ভক্তদের গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ভক্তদের জন্য ব্যারিকেডিং করা হচ্ছে। এই যন্ত্রের সাহায্যে ভক্তরা জলাভিষেক করতে পারবেন। ভক্তদের জন্য জলাভিষেক থেকে রুদ্রাভিষেক পর্যন্ত আয়োজন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভগবান শিবকে সন্তুষ্ট করতে পালিত হয় রুদ্রাভিষেক আচার, রইল পুজোর ১০টি নিয়ম

আরও পড়ুন: পার্স কিংবা সাইড ব্যাগে ভুলেও রাখবেন না এই কটি জিনিস, হতে পারে আর্থিক ক্ষতি

আরও পড়ুন: বাড়ির বারান্দা কিংবা ছাদে ভুলেও এই কয়টি জিনিস রাখবেন না, হতে পারে বাস্তুদোষ