সংক্ষিপ্ত

অনেকেই হয়ত জানেন না হোলির দিনের অলৌকিক কিছু প্রতিকার রয়েছে। এই দিনে কিছু নিয়ম মেনে চললে জীবনে সুখ সমৃদ্ধি ফিরে আসবে।

হোলি (Holi) বা দোলযাত্রা (Dol Yatra)। মনের সকল রাগ, অভিমান, গ্লানি ভুলে একে অপরকে নানান রঙে (Festival of Colors) রাঙিয়ে দেওয়ার উৎসব। হোলির উত্সবে রংয়ের (Colors) সমাহারে চাপা পড়ে যায় মনে সব গ্লানি। পুরাণ মতানুসারে, দোলযাত্রার দিনই নাকি রাধাকে প্রেম নিবেদন করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ  (Shri Krishna)। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয় বলে মনে করা হয়।

দোল উৎসবের (Dol Festival) দিন এই ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা (Dol Purnima) বলা হয়। আবার এই দিনটিই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মতিথি হিসেবে উদযাপিত হয়। তাই এই দিনে পশ্চিমবঙ্গের মায়াপুর, নবদ্বীপের মতো জায়গাগুলিতে বিশেষভাবে উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন সেখানকার মানুষ। 

কিন্তু অনেকেই হয়ত জানেন না হোলির দিনের অলৌকিক কিছু প্রতিকার রয়েছে। এই দিনে কিছু নিয়ম মেনে চললে জীবনে সুখ সমৃদ্ধি ফিরে আসবে। 

* আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে হলে হোলিকা দহনের সময় শ্রী সুক্তম পাঠ করে চিনি নিবেদন করুন। একই সাথে, কাঙ্ক্ষিত কাজ সিদ্ধির জন্য, আপনার প্রার্থনা বলার সময় তিনটি গোমতী চক্র নিন এবং আগুনে প্রণাম করুন।

আরও পড়ুন- দামী রত্ন নিতে অসুবিধা, গাছের এই শিকড়েই মিলবে সুফল খুলবে ভাগ্য

আরও পড়ুন- ন্যাড়া পোড়ার সময় ভুলেও এই গাছের কাঠ ব্যবহার করবেন না, হতে পারে মারাত্মক সমস্যা

আরও পড়ুন- দোল উৎসব শুভ করতে রাশি অনুযায়ী ব্যবহার করুন রঙ, দেখে নিন কোন রাশির জন্য কোন রঙ শুভ

* জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে হোলিকার ভস্মে টিকা দিলে চোখের দোষ, গ্রহের বাধা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

* জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে হোলিকা দহনের পরে রেখে যাওয়া ছাই বাড়িতে নিয়ে এসে লাল কাপড়ে বেঁধে ভল্টে রাখলে আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধ হয়।

* জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, আপনার প্রিয় দেবতা/পরিবারের দেবতা/দেবতার সাথে হোলি খেলেও সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এই কারণে, হোলি উপলক্ষ্যে, সবার আগে তাদের রঙের অফার করা হয়।

* বিবাহে সমস্যা হলে তা দূর করতে হোলির দিনে একটি পানের ওপর একটি সুপারি ও এক পিণ্ড হলুদ রেখে শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন এবং শ্রী শিব দরিদ্র দহন স্তোত্র পাঠ করুন।

হোলির আট দিন আগে হোলাষ্টক হয়। এই সময়ে সমস্ত শুভ কাজ বন্ধ হয়ে যায় কারণ এই সময়ে বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন গ্রহের নেগেটিভ শক্তিগুলি বৃদ্ধি পায়। হোলি খেলার একদিন আগে হোলিকা দহন করা হয় বাংলায় যা ন্যাড়াপোড়া নাম পরিচিত। এই হোলিকা দহনের হল মন্দের ওপর ভালোর জয় অর্থাৎ অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির বিজয় উৎসব। চলতি বছরের ১৮ই মার্চ পালিত হল দোল উৎসব এবং তাঁর পরদিন ১৯শে মার্চ উদযাপিত হবে হোলি (Holi)।