সংক্ষিপ্ত
সংকটমোচন হনুমানজি চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে জন্মগ্রহণ করেন। এই বছর হনুমান জয়ন্তী ২০২২ সালের ১৬ই এপ্রিল শনিবার পড়েছে।
হিন্দু ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস অর্থাৎ চৈত্র মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসেই হিন্দু নববর্ষ শুরু হয়। চৈত্র নবরাত্রি এই মাসে পড়ে, ভগবান রামের জন্মবার্ষিকীও এই মাসেই পালিত হয়। ভগবান রামের ভক্ত হনুমানজির জন্মদিনও পালিত হয় এই মাসেই। সংকটমোচন হনুমানজি চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে জন্মগ্রহণ করেন। এই বছর হনুমান জয়ন্তী ২০২২ সালের ১৬ই এপ্রিল শনিবার পড়েছে।
এপ্রিল মাসে শনি, রাহু-কেতু রাশি পরিবর্তন করছে
জ্যোতিষশাস্ত্রের দিক থেকে এপ্রিল মাস অনেক পরিবর্তন এনেছে। এই মাসে শনি, রাহু-কেতুর মতো গ্রহ রাশি পরিবর্তন করছে, যাদের অশুভ দৃষ্টি জীবনকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। ছায়া গ্রহ রাহু-কেতু ১২ই এপ্রিল ২০২২-এ রাশিচক্র পরিবর্তন করছে, এই মাসেই শনি প্রভাব বাড়াবে ২৯ এপ্রিল ২০২২ থেকে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই নিষ্ঠুর গ্রহগুলির অবস্থানের পরিবর্তন অনেক রাশির জন্মের জন্য ভারী প্রমাণিত হবে। এই ক্ষেত্রে, এই গ্রহগুলিতে পাওয়া অশুভ ফলগুলি নিরাময়ের ব্যবস্থা নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
হনুমান সকল সংকট দূর করবেন
– পবনপুত্র হনুমান প্রতিটি সংকট দূর করেন তাই তাকে সংকট মোচন বলা হয়। ১৬ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তীর দিন কিছু প্রতিকার করা হলে শনি, রাহু-কেতুর অশুভ ফল অনেকটাই উপশম হয়।
- হনুমান জয়ন্তীর দিন ১১ বার হনুমান চালিসা পাঠ করতে হবে। হনুমান মন্দিরে গিয়ে সংকটমোচনের মূর্তির সামনে বসে পাঠ করুন। এমনটা করলে শনির ধেয়া বা সারে সাতিতে ভোগা মানুষদেরও অনেক স্বস্তি মিলবে।
- হনুমানজী বেসনের আটার লাড্ডু খুব পছন্দ করেন। হনুমান জয়ন্তীর দিন তাদের এই আটার লাড্ডু নিবেদন করা উচিত। এমনটা করলে আপনার জীবনে সুখ ফিরবে। কষ্ট উপশমের জন্য লবণও দিতে হবে। এতে ফুলকপি, সোফা এবং গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করুন তবে ভুল করে চুন, সুগন্ধি, কৃত্রিম গন্ধ যোগ করবেন না।
- হনুমানজিকে সিঁদুর নিবেদন করলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়। হনুমান জয়ন্তীর দিন বজরঙ্গবলীকে সিঁদুর অর্পণ করতে হবে। এছাড়াও জুঁই ফুলের মালা এবং লাল কাপড় উৎসর্গ করুন। হনুমান জয়ন্তী থেকে শুরু করে আগামী ১১ পূর্ণিমা পর্যন্ত এই প্রতিকার করলে বড় সংকট থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
- হনুমান মন্দিরে ত্রিভুজ লাল পতাকা উত্তোলন করতে হবে। এটি করলে প্রতিটি প্রচেষ্টায় সাফল্য আসবে।