সংক্ষিপ্ত
একাদশী ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা একটি দিন বলে মনে করা হয়। এক মাসে দুই পক্ষের উপস্থিতির কারণে দুটি একাদশী হয়, একটি শুক্লপক্ষ এবং অন্যটি কৃষ্ণপক্ষ।
হিন্দু ধর্মে মোক্ষদা একাদশীর একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, বিষ্ণু, মহর্ষি বেদ ব্যাস এবং শ্রীমদ্ভাগবত গীতা বিশেষভাবে মোক্ষদা একাদশীতে পূজা করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই উপবাসটি পূর্ণ ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করলে মানুষের পূর্বপুরুষরা মোক্ষ লাভ করেন। তিনি সকল প্রকার কর্মের বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ করেন। এই ব্রতর প্রভাব এত বেশি যে, এতে করে মানুষের জীবনের সমস্ত পাপও নষ্ট হয়ে যায়।
এই কারণেই মানুষ এই পবিত্র উপবাসটি পূর্ণ ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে। এবার ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পালিত হবে এই পবিত্র মোক্ষদা একাদশী। জেনে নেওয়া যাক এর পূজা পদ্ধতি, শুভ সময় ইত্যাদি সম্পর্কে।
মোক্ষদা একাদশী ২০২১ পূজা বিধান
১) মোক্ষদা একাদশী উপবাসের একদিন আগে দশমী তিথিতে দুপুরে একবার খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে রাতে যেন খাবার খাওয়া না হয়।
২) একাদশীর দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে ভগবানের সামনে উপবাসের ব্রত নিন।
৩) উপবাসের সংকল্প নেওয়ার পরে, ধূপ, প্রদীপ এবং নৈবেদ্য ইত্যাদি দিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা করুন।
৪) শুধু তাই নয়, এই দিনে রাতে পূজা ও উপাসনাও করা উচিত।
৫) একাদশীর পরের দিন দ্বাদশীর পুজো করলে, অভাবগ্রস্ত ব্যক্তি অন্ন ও দান থেকে বিশেষ উপকার পান।
মোক্ষদা একাদশী তিথি, উপবাসের সময়
এবার মোক্ষদা একাদশী তিথি ১৩ ডিসেম্বর সোমবার রাত ৯ টা বেজে ৩২ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে, যা চলবে পরের দিন ১৪ ডিসেম্বর রাত ১১ টা বেজে ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে উদয়তিথির কারণে ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মোক্ষদা একাদশীর উপবাস পালিত হচ্ছে। এর সঙ্গে এই ব্রত ১৫ ডিসেম্বর সকাল ৭ টা বেজে ৫ মিনিট থেকে ৯ টা বেজে ৯ মিনিটের মধ্যে ভাঙতে হবে।
মোক্ষদা একাদশীর গল্প
এক সময় গোকুল নগরীতে ভাইখানাস নামে এক রাজা রাজত্ব করতেন। একদিন রাজা স্বপ্নে দেখলেন যে তার পিতা নরকে আছেন, এবং তার ছেলের কাছ থেকে পরিত্রাণের জন্য অনুরোধ করছেন। বাবার অবস্থা দেখে রাজার মন খারাপ হয়ে গেল। পরদিন রাজা ব্রাহ্মণদের ডেকে তার স্বপ্নের রহস্য জানতে চাইলেন। তখন ব্রাহ্মণরা তাকে বললেন, এ ব্যাপারে তুমি পার্বত নামে এক ঋষির আশ্রমে গিয়ে পিতার মোক্ষের সমাধান চাও। রাজাও তাই করলেন। পর্বত ঋষি রাজার কথা শুনে চিন্তিত হয়ে পড়লেন।
তিনি রাজাকে বলেছিলেন যে তার পিতা পূর্বজন্মের কৃতকর্মের কারণে নরকপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং মোক্ষদা একাদশীর উপবাসের কথা বলেছেন। তিনি রাজাকে বললেন, তুমি যদি তোমার পিতাকে উপবাসের ফল অর্পণ করো, তাহলে তিনি মুক্তি পেতে পারেন। রাজা তখন ঋষির কথা অনুযায়ী মোক্ষদা একাদশীর উপবাস করেন এবং ব্রাহ্মণদের অন্ন প্রদান করেন, যার ফলে রাজার পিতা মোক্ষ লাভ করেন।
আরও পড়ুন- মহাভারতের মহাযুদ্ধের পর কেন অর্জুনের রথ পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল, জেনে নিন অজানা গল্প
আরও পড়ুন- এই ৩ রাশির মানুষ খুব সহজেই রেগে যায়, দেখে নিন তারা কারা
আরও পড়ুন- ২০২২ সালে ৮ রাশির উপর থাকবে শনির কু-নজর, জেনে নিন সেই তালিকা
আরও পড়ুন- ডিসেম্বর মাস থেকেই এই ৩ রাশির হাতে আসবে প্রচুর টাকা, বাড়বে ধন-সম্পদও
আরও পড়ুন- ২০২২ সালে এই রাশিগুলির নিজস্ব বাড়ি থাকবে, জেনে নিন আপনার ভাগ্য কি বলছে