সংক্ষিপ্ত
মুনস্টোন পরার কতগুলি নিয়ম রয়েছে। এটি হাতের কণিষ্ঠ আঙুলে পরতে হবে। ডান বা বাঁ- নির্বিশেষে যে কোনও হাতেই পরতে পারেন আপনি। তবে আপনি যে হাত দিয়ে লেখেন সেই হাতে এটি পরলে শুভ ফল পাবেন।
মুনস্টোন হল সেই রত্ন যার মধ্যে লুকিয়ে থাকে চাঁদের বৈশিষ্ট। এটিকে চন্দ্রকান্তও বলেন। অনেকেই এই সাদা রঙের পাথর ধারন করেন। কিন্তু আপনি জানেন কি মুনস্টোন ধারণে জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। এটি প্রশান্তি ও শান্তি নিয়ে আসে মনে। পাশাপাশি এটি ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। মুনস্টোর অর্ধরত্নের মধ্যে পড়ে। এটি মুক্তার উপরত্ন হিসেবে চিহ্নিত হয়। কর্কট রাশি যাদের তাদের জন্য এই পাথর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পাথর কর্কট রাশির গুণমান বৃদ্ধিতে কাজ করে।
তবে মুনস্টোন পরার কতগুলি নিয়ম রয়েছে। এটি হাতের কণিষ্ঠ আঙুলে পরতে হবে। ডান বা বাঁ- নির্বিশেষে যে কোনও হাতেই পরতে পারেন আপনি। তবে আপনি যে হাত দিয়ে লেখেন সেই হাতে এটি পরলে শুভ ফল পাবেন। এটি পরার আগে সর্বদা জ্যোতিষীর সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি। মুনস্টোন পরার আগে পবিত্র জল বা গঙ্গাজল দিয়ে তা পরিশোধন করতে হয়। দুধ দিয়ে ধুয়ে তারপরই মন্ত্র পড়ে তা শুদ্ধ করতে হয়।
বিশ্বের সর্বত্রই মুনস্টোন পাওয়া যায়। তবে প্রাচীন ইতিহাসে এই পাথরের গুরুত্ব প্রচুর। রোমান ও গ্রীকরা এটি ঐশ্বরিক রত্ন হিসেবে মনে করত। দেবতাদের তারা এই পাথর অর্পণ করত। মনের মানুষকে কাছে পাওয়ার জন্য অনেকে মুনস্টোন পরেন। এই পাথরকে অনেকেই ভালবাসা ও সুরক্ষার পাথর হিসেবেও ব্যবহার করেন।
মুনস্টোন খুব সস্তার একটি পাথর। এটি বেশ কিছু সুবিধে রয়েছে। এটি মানসিক ও মানসিক অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি জ্যোতিষশাস্ত্র সবথেকে মূল্যবান পাথর হিসেবে চিহ্নিত।
মুনস্টোন- শান্তি বাড়ায়। এছাড়াও এটি হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আবেগ আর ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে। আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। স্থূলতা কমায়। ব্যবসায় শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে পারে। মুনস্টোন অনেক রকমের হয়- সাদা, পীচ বা হলুগ, স্টার, ব্রাউন, নীল শিন মুনস্টোন, ক্যাটসআই মুনস্টোন। আর রেনবো মুনস্টোন। সবুজ মুনস্টোনও পাওয়া যায়।