সংক্ষিপ্ত

শনিদেবকে বিচার আর শাস্তির দেবতা হিসেবে মনে করা হয়। শনিদেবতা একবার রেগে গেলে বা কুপিত হলে তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে বলেও মনে করা হয় হিন্দুশাস্ত্রে।

শনিদেবকে বিচার আর শাস্তির দেবতা হিসেবে মনে করা হয়। শনিদেবতা একবার রেগে গেলে বা কুপিত হলে তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে বলেও মনে করা হয় হিন্দুশাস্ত্রে। আর সেই কারণেই সর্বদা শনিদেবতাকে তুষ্ট রাখার চেষ্টা করা হয়। শনিবার অনেকেই শনিদেবতার কৃপা পেতে বিশেষ পুজো করেন। তবে অন্যান্য দেবতার মত নয় - নিয়ম নীতি সম্পূর্ণ আলাদ। যাইহোক শনিবার শনিঠাকুরের দিন। তাই এই দিন কিছু বিধানমেন চলা অবশ্যই কর্তব্য। বিশেষত যাদের শনি হালকা থাকে বা শনির দশা চলতে। অনেকেই রয়েছেই শনিবার বিশেষ পুজো দিতে শনি মন্দিরে যান। বা বাড়িতে পুজো করেন। তাঁরাও কিন্তু এই নিয়মনীতিগুলি মেনে চলবেন - না হলে কুপিতে হবেন শনিদেবতা। 

জেনে নিন শনিদেবতা নিয়ে যে সতর্কতাগুলি বিধান হিসেবে দেওয়া রয়েছে- 

শনির চোখের দিকে তাকাবেন না - শনিবার যদি শনি মন্দিরে যান তাহলে ভুলেও শনিঠাকুরের চোখের দিকে তাকাবেন না। শনি দেবতার মূর্তির পুরোপুরি সামনে দাঁড়াবেন না। একটি পাশ থেকে দাঁড়িয়ে দর্শন করুন। দর্শনের সময় চোখ বন্ধ রাখুন নাহলে শনি ঠাকুরের পায়ের দিকে তাকান। পায়ের দিকে তাকালে শনি দেবতা অশীর্বাদ করেন। শনি দেবতার চোখের দিকে তাকালে শনির দৃষ্টি সরাসরি পড়ে। যা অত্যান্ত অশুভ। 

শনি ঠাকুরকে পিঠ দেখাবেন না- 
শনি পুজোর দিন স্থির হয়ে দাঁড়াবেন। আর পুজো করার পরে যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই অবস্থাতেই মন্দির থেকে বার হয়ে যান। শনি ঠাকুরের দিকে পিছন ফিরে যাবেন না। তাহলে শনি ঠাকুর কুপিত হয়ে অভিশাপ দিতে পারে। 

পোশাকের রঙ- ভুলেও শনি পুজোর দিন বা শনিবার লাল রঙের পোশাক পরবেন না। নীল বা কালো রঙের পোশাক পরলে শনিদেবতার আশির্বাদ পেতে পারেন। 

তামার পাত্র নয়- 
শনি ঠাকুরকে অনেকেই তেল অর্পন করেন। তাঁরা ভুলেও তামার পাত্র ব্যবহার করবেন না। লোহার পাত্র তেল দিতে পারেন। কারণ তামা হল সূর্যের কারক। সূর্যদেব আর শনিদেব একে অপরের পরম শত্রু। 


বিশেষ দিক- 
আগেই বলেছি শনি পুজোর নিয়ম রীতি সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ সাধারণ পুজো করতে বসা হয় উত্তর বা পূর্ব দিকে মুখ করে। কিন্তু শনি দেবতা পশ্চিম দিকের অধিপতি। তাই শনি পুজোর সময় পূজারীর মুখ পশ্চিম দিকে রাখতে হবে।