সংক্ষিপ্ত
- ৫ জুন শুক্রবার দশকের দ্বিতীয় চন্দ্র গ্রহণ
- এই চন্দ্রগ্রহণ হবে উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ
- শুক্রবার পূর্ণিমার এই যোগ অত্যন্ত শুভ
- এই তিথিতে ভগবান বিষ্ণু ও লক্ষীর পুজো করা হয়
৫ জুন শুক্রবার দশকের দ্বিতীয় চন্দ্র গ্রহণ। এই চন্দ্রগ্রহণ হবে উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ। সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ অসম্পূর্ণভাবে একত্রিত হয় তখন এই উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। বছরের বা এই শতাব্দীর প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল জানুয়ারি মাসে। জ্যোতিশশাস্ত্র মতে, এই পূর্ণিমা দিবসে বিশেষ কিছু রীতি পালন করলে জীবনের সাময়িক বাধা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। তবে জেনে নেওয়া যাক শুক্রবারে পূর্ণিমা তিথিতে কোন কাজ আপনার জীবনের বাধা কাটিয়ে দিতে পারে।
শুক্রবার ও পূর্ণিমার এবম গ্রহণের যোগে ভগবান সত্যনারায়ণের আরাধণা ও পুজো করুন। পূর্ণিমাতে সত্যনারায়ণ ব্রত পালন করলে সংসারের সার্বিক উন্নতি ফিরে আসে। শুক্রবার পূর্ণিমা ও গ্রহণের এই যোগ অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই তিথিতে ভগবান বিষ্ণু ও লক্ষীর পুজো করা হয় এবং উপবাস করা হয়।
এই দিনের সাধ্য মত পূর্ণিমা শুরু হওয়ার পর ভগবান বিষ্ণু ও মহালক্ষীর পুজো করুন। পুজোর উপকরণ হিসেবে কিছুটা আতপ চাল একটি ধাতব কৌটয় পাশে রেখে দিন। পুজো শেষে ঈশ্বরের পায়ের ফুল ওই চালের মধ্যে রেখে দিন। ৩ টে কয়েন নিয়ে তাতে মহালক্ষ্মীর সিঁদুরের ফোঁটা দিন। তারপর একে একে চালের কৌটয় ওই ৩টি কয়েন গেঁথে দাঁড় করিয়ে রাখুন। কৌটর মুখ বন্ধ করে বাড়িত যেখানে টাকা পয়সা রাখেন, তা আলমারি হোক বা কোনও লকার সেখানে রেখে দিন। কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার আর্থিক সমস্যার কিছুটা হলেও কেটে যাবে।
এছাড়া এই পূর্ণিমা তিথিতে নদীতে স্নান করুন এবং স্নানের পরে দরিদ্রদের অর্থ দান করা উচিত। তবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে নদীতে স্নান এড়িয়ে চলুন। বাড়িতে নদীর নাম জপ করে স্নান করুন। স্নানের পরে দুঃস্থ মানুষকে অর্থ ও খাদ্যশস্য দান করুন। এখনই গ্রীষ্মের সময় চলছে, এই দিনগুলিতে ছাতা দান করা বা জল দান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। আপনি কোনও দরিদ্র ব্যক্তিকে বস্ত্রও দান করতে পারেন। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখুন তাতে সংসারের সার্বিক উন্নতি হবে।