সংক্ষিপ্ত

গৌতম বুদ্ধ হলেন সর্বশক্তির আধার। তাই বাড়িতে বুদ্ধ মূর্তি রাখা মানে সকল প্রকার নেগেটিভ শক্তি থেকে মুক্তি। লিভিং রুমে বা বাড়ির সদর দরজার সামনে এই মূর্তি রাখলে দারুন ফল পাওয়া যায়। কোনও খারাপ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে না। 

সনাতন হিন্দু ধর্মের নবম অবতার গৌতম বুদ্ধ হলেন বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক। বৌদ্ধরা তাকে সেই বোধিপ্রাপ্ত বা দিব্য শিক্ষক বলে মনে করেন, যিনি সম্পূর্ণ বুদ্ধত্ব অর্জন করেছেন এবং নিজের অন্তর্দৃষ্টির কথা সকলকে জানিয়ে চেতন সত্ত্বাদের পুনর্জন্ম ও দুঃখের সমাপ্তি ঘটাতে সাহায্য করেছেন। 

গৌতম বুদ্ধ ছিলেন একজন সম্যাক সম্বুুদ্ধ তপস্বী ও জ্ঞানী, যাঁর তত্ত্ব অনুসারে বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তিত হয়। বৌদ্ধরা বিশ্বাস করেন, গৌতম বুদ্ধের জীবনকাহিনী, কথোপকথনের বিবরণ, সন্ন্যাস নিয়মাবলি তার মৃত্যুর পর হতে সঙ্গায়নের মাধ্যমে বুদ্ধের বাণী সংরক্ষণ করে রাখতেন। ইতিহাসে এরকম এই পর্যন্ত ছয়টি সময় হয়েছে। 

প্রথম সঙ্গায়ন হয়েছিল বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের পর রাজা অজাতশত্রু'র পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতের সপ্তপর্ণী গুহায়। দ্বিতীয়টি হয়েছিল বৈশালীতে কালাশোকের পৃষ্ঠপোষকতায়। তৃতীয়টি হয়েছিল অশোকের পৃষ্ঠপোষকতায়। এভাবে বড় বড় রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ত্রিপিটক বুদ্ধবচন সংরক্ষিত হয়ে আসছে। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী গৌতম বুদ্ধ ভগবান বিষ্ণু এর অবতার।

গৌতম বুদ্ধ হলেন সর্বশক্তির আধার। তাই বাড়িতে বুদ্ধ মূর্তি রাখা মানে সকল প্রকার নেগেটিভ শক্তি থেকে মুক্তি। লিভিং রুমে বা বাড়ির সদর দরজার সামনে এই মূর্তি রাখলে দারুন ফল পাওয়া যায়। কোনও খারাপ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে না। বুদ্ধ মূর্তির সামনে ধ্যান করে ওম মন্ত্র জপ করলে সকল প্রকার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি অফিস ডেস্কে বুদ্ধ মূর্তি রাখলে কর্মক্ষেত্রে চূরান্ত সফলতা লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। 

কর্মক্ষেত্রে চূরান্ত সফলতা লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতে স্থাপন করুন এই মূর্তি
শাস্ত্র মতে, সব ধরনের ঠাকুরের মূর্তি বাড়িতে রাখা যায় না। বাস্তুশাস্ত্রের একাধিক বইয়েও উল্লখে আছে এই নিয়মের। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক নিয়ম মেনে যদি বুদ্ধি মূর্তি বাড়িতে রাখা যায় তবে মেল অনেক উপকার। ঘর সাজাতে অনেকেই বাড়িতে বুদ্ধি মূর্তি রাখেন। তবে বাড়িতে এই মূর্তি রাখা যায় কি না সেই বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে বাস্তুতে। বাড়িতে বা অফিসে এই মূর্তি রাখলে সুখ-শান্তির ঝাঁপি তো কখনও খালি হয় না, উল্টে পজিটিভ শক্তিতে ভরে ওঠে সেই স্থান।

ফেং শুই এক্সপার্ট এবং বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, বুদ্ধ মূর্তি যত বড় হবে ততই ভালো। তাই নিজের সামর্থ মত বাড়িতে নিয়ে আসতেই পারেন শান্তির এই প্রতিকৃৎ। বুদ্ধ মূর্তির সামনে সুগন্ধি মোমবাতি ও সাদা ফুল দিতে পারেন, তাতে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পায়। পড়ার টেবিলেও রাখতে পারেন এই মূর্তি, বিদ্যার্থীদের পড়ার প্রতি মনযোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও বাড়ে।