সংক্ষিপ্ত

ঘরের নেতিবাচকতা দূর করতে অনেক কিছুর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল গোলাপী ফিটকিরি। সাদা অ্যালুম ছাড়াও, বাস্তুতে গোলাপী অ্যালুম একটি খুব অলৌকিক জিনিস হিসাবে ব্যবহৃত হয়।  
 

বাস্তুশাস্ত্রে এমন অনেক কিছুর কথা বলা হয়েছে, যা নেতিবাচক শক্তি দূর করতে এবং ঘরে ইতিবাচক শক্তি বজায় রাখতে কাজ করে। ঘরের নেতিবাচকতা দূর করতে অনেক কিছুর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল গোলাপী ফিটকিরি। সাদা অ্যালুম ছাড়াও, বাস্তুতে গোলাপী অ্যালুম একটি খুব অলৌকিক জিনিস হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে গোলাপী ফিটকিরি ঘরে বেড়ে ওঠা নেতিবাচক শক্তিকে মূল থেকে দূর করে। শুধু তাই নয়, এর প্রতিকার ঘরে ধন-সম্পদ নিয়ে আসে। আসুন জেনে নিই ঘরে থাকা গোলাপি ফিটকিরি এই প্রতিকারগুলো সম্পর্কে। 

গোলাপী ফিটকারির প্রতিকার-

  • বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, যদি বাড়িতে শাশুড়ি এবং পুত্রবধূর মধ্যে একটি জিনিসও না থাকে। সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলে তার প্রভাব বাড়ির সকলের ওপর পড়ে। সেই সঙ্গে যদি পিতা-পুত্রের মধ্যে মারামারি-ঝগড়া হয়, পরিবারে কলহ-বিবাদ দেখা দেয়, তবে এর জন্য গোলাপি ফিটকিরির প্রতিকার খুবই কার্যকর। 
  •  

  • এমন অবস্থায় ঘরের বসার ঘরের এক কোণে একটি পাত্রে লুকিয়ে গোলাপি ফিটকিরি রাখলে বিগড়ে যাওয়া সম্পর্কের উন্নতি ও মাধুর্য বজায় থাকে, ঘরের নেতিবাচকতা দূর হয়। এতে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের স্বভাব ভালো থাকবে। এবং আপনি বাড়িতে ঘটছে মারামারি থেকে মুক্তি পাবেন।  
  • গোলাপী ফিতারের এই প্রতিকার মানসিক শান্তি এবং স্ট্রেস এড়াতেও খুব কার্যকর। ঘরে ঢোকার সাথে সাথে যদি আপনি উত্তেজনা অনুভব করেন তবে মূল দরজার পিছনে গোলাপী ফুঁটি রাখুন। এতে মানসিক চাপ কমবে।  
  • স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলে বা মানসিক চাপের কারণে ঘুমাতে না পারলে বেডরুমে গোলাপি ফিটকি রাখুন। এটি সম্পূর্ণরূপে মানসিক চাপ এবং নেতিবাচকতা দূর করে। এ কারণে পরিবারে আবারও সুখ আসে। 
  • কথিত আছে যে যাদের বারবার দৃষ্টি খারাপ হয়, তাদেরও গোলাপি পটকা নিয়মিত বদলানো উচিত। গোলাপী ফিটকিরি নিয়ে যে ব্যক্তি তাকাচ্ছে তার উপর দুই থেকে তিনবার পেঁচিয়ে ঘুষি মারুন। কথিত আছে, এতে কুদৃষ্টি দূর হবে।